নিজস্ব প্রতিবেদক, Prabartan | প্রকাশিতঃ ১৮:০৮, ১৬-০৪-১৯
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরতের শ্লীলতাহানী ও তাঁকে পুড়িয়ে বর্বরভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে খুবির হাদী চত্ত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মানবন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।
তিনি বলেন ফেনীর সোনাগাজীর ঘটনায় অভিভাবক হিসেবে আমাদের লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যায়। বাংলাদেশের মানুষ সাধারণত ধর্মীয় অনুভূতিশীল এবং বিশেষ করে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে একধরনের আবেগ-অনুভূতি তাদের কাজ করে। তারা এখানে অনেকটা ধর্মীয়পরিবেশে শিক্ষালাভের প্রত্যাশা করেই মেয়ে সন্তানদের সেখানে পাঠায়। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে মাদ্রাসার মতো ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বাসসহ বিভিন্ন স্থানে শ্লীলতাহানি, হত্যার যেসব ঘটনা ঘটছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। আমাদের মনে রাখতে হবে সমাজ তথা দেশের উন্নয়নের জন্য নারী ও পুরুষের সম্মিলিত ভূমিকা অগ্রগতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল ও পরিবারে নারীর নিরাপত্তা না থাকলে উন্নয়ন ও অগ্রগতি ব্যাহত হবে।
তিনি আরও বলেন মঙ্গল শোভাযাত্রার ব্যাপারে যারা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে অথচ নুসরাত হত্যান্ডের ব্যাপারে তাদের কোনো বিবৃতি, প্রতিবাদ লক্ষ্যণীয় নয়। এখানেই বোঝা যায় তারা কী ধরনের সমাজ কায়েম করতে চায়। উপাচার্য বলেন সোনাগাজীর ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ যার নাম মুখে নিতে ঘৃণা করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। একই সাথে আমরা এই হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত সবার এবং অন্যান্য ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই যাতে আর কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটাবার সাহস না পায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নুসরাতের চিকিৎসা থেকে শুরু করে এবং তাঁর হত্যাকারীদের আটকসহ এ ব্যাপারে এ পর্যন্ত যে দৃঢ় ভূমিকা নিয়েছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এসময় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন আরও বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোসাম্মৎ তাছলিমা খাতুন, প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী, প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। মানবন্ধনটি পরিচালনা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মোঃ শরীফ হাসান লিমন। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।