করোনেশনের মেধাবী ছাত্রী সাদিয়ার দু’টি কিডনী নষ্ট, সাহায্যের আবেদন

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | প্রকাশিতঃ ১৭:০৬, ১৬-০৪-১৯

দুটি কিডনীই নষ্ট হয়ে গেছে মেধাবী স্কুল ছাত্রী সাদিয়া সুলতানার। এখন প্রতি সপ্তাহে তাকে ডায়ালেসিস করতে হচ্ছে। এই চিকিৎসা প্রচুর ব্যয় সাপেক্ষ। দ্রুত কিডনী প্রতিস্থাপন করতে না পারলে তাকে বাঁচানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

খুলনার সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া। সে ২০১৬ সালে পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে। কিন্তু এখন আর স্কুলে যেতে পারে না সাদিয়া। দিন দিন সে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

সাদিয়ার ক্লাস টিচার সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাহিদা পারভীন বলেন, সাদিয়ার দুইটি কিডনী নষ্ট হয়ে যাওয়ায় স্কুলে আসতে পারে না। এ বছর দুই একদিন স্কুলে এসেছে। আমরা স্কুলের একটি ফান্ড গঠন করে সাদিয়ার চিকিৎসায় সাহায্য করার চেষ্টা করছি।

সাদিয়া বলে, এত দিন বাবা-মা তাদের সব টাকা পয়সা দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছে। এখন আর পারছে না। যে কারণে আমার চিকিৎসা বন্ধ। দেশে কোটি কোটি মানুষ থাকতে আমি কি বিনা চিকিৎসায় টাকার অভাবে মারা যাবো এই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরে সাদিয়া।

সাদিয়ার বাবা সামান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও মা গৃহিনী। সংসারের সর্বস্ব খুইয়ে একমাত্র মেয়েকে সুস্থ্য করতে ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। অর্থাভাবে মেয়ের চিকিৎসা না করেই দেশে ফিরে আসেন। এখন ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সাদিয়া। সবকিছু হারিয়ে অসহায় পিতা-মাতার চোঁখের সামনে মেয়ের মৃত্যু দেখা ছাড়া আর যেন কিছুই করার নেই তাদের।

সাদিয়ার বাবা মেজবাহ উদ্দিন শিকারী। খুলনা সদর থানার পূর্ব বানিয়া খামার এলাকার লোহার গেট মাদ্রাসার দক্ষিণ পাশ দিয়ে কাষ্টম গলির কেয়া ভবনের বাসিন্দা।

তিনি বলেন, আমি ১ নং কাস্টম ঘাটে সামান্য একটি ব্যবসা করি। এতদিন আমার সাধ্যমত সাদিয়াকে চিকিৎসা করিয়েছি। তার দুইটি কিডনী নষ্ট হয়ে গেছে এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলেছেন আমার মেয়ের একটি কিডনী জরুরী ভিত্তিতে প্রতিস্থাপন করতে হবে। মেয়ের চিকিৎসা করানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করে আমি ও আমার পরিবার নিঃস্ব প্রায়। এই মুহুর্তে আমার পক্ষে মেয়ের কিডনী প্রতিস্থাপন করা একেবারেই অসম্ভব। তাই আমি সমাজের বিত্তবানদের নিকট মেয়ের জন্য সহযোগীতা প্রার্থনা করছি। যাতে আমি আমার মেয়ের কিডনী প্রতিস্থাপন করাতে পারি।

সাদিয়ার বাবা বলেন, ৮-৯ মাস আগে হঠ্যাৎ অসুস্থ হয়ে পরে সাদিয়া। পরে খুলনার আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের মেডিসিন ও কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ আর্শাদ-উল-আজীমকে দেখালে পরীক্ষা নিরিক্ষা করার পর তিনি জানান সাদিয়ার দুইটি কিডনীই নষ্ট হয়ে গেছে। পরে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে দেখানো হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে জানায় কিডনী জরুরী ভিত্তিতে প্রতিস্থাপন করতে ভারতীয় রুপির ১৮ লাখ রুপির প্রয়োজন। বাংলাদেশে যা প্রায় ২০ লাখ টাকা। এত টাকা পাব কোথায়।

তিনি বলেন, সাদিয়াকে আমি ও ওর মা যে কেউ কিডনী দিতে পাবরো। আমাদের সাথে ওর মিল আছে। এখন শুধু টাকার প্রয়োজন।

মেয়েকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সাদিয়ার বাবা মেজবাহ।

আর্থিক সাহায্যের টাকা পাঠানোর ঠিকানাঃ একাউন্ট নাম: মেজবাহ উদ্দিন শিকারী, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর: ৩৪১৯৭৩২৪ সোনালী ব্যাংক, কর্পোরেট শাখা, খুলনা। যোগাযোগ করার জন্য : মোবাইল নং: ০১৭২৬-৮৮৫৫১৭ (বাবা) । বিকাশ নং: ০১৭৩২-৬১৮৮০১ (মা নাসরিন নাহার)।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top