ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | প্রকাশিতঃ ১৬:২১, ১৫-০৪-১৯
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক অধ্যাপক ড. শফিউল ইসলাম হত্যা মামলায় রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তার পরিবার।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণার পর অসন্তোষ প্রকাশ করেন শিক্ষক শফিউল ইসলামের ছেলে ও বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে অধ্যাপক শফিউলের একমাত্র ছেলে সৌমিন শাহ্রিদ জেবিন জানান, মামলার সঠিক বিচার নিয়ে তারা আগে থেকেই শঙ্কিত ছিলেন। কারণ শুরু থেকেই চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির সঠিক তদন্ত হয়নি। তাই এমন মামলায় ন্যায়বিচার পাওয়ার কথা আশা করা যায় না।
উচ্চ আদালতে আপিল করবেন জানিয়ে সৌমিন শাহ্রিদ বলেন, মামলার রায় দেখেই বোঝা যায় বিচার ও তদন্ত প্রক্রিয়ায় গাফিলতি রয়েছে। এরকম একটি চাঞ্চল্যকর মামলায় ১১ জন আসামির মধ্যে ৮ জনই বেকসুর খালাস সেটাই প্রমাণ করে। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। মামলার রায়ে আমরা অসন্তুষ্ট। উচ্চ আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সৌমিন শাহ্রিদ আরও বলেন, মামলা দায়েরের সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও গাফিলতি ছিল। হত্যাকাণ্ডের পরদিন রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দু’মাস পরে এ বিষয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে জানতে চাইলে তিনি মামলার বিষয়ে কোনো খোঁজ নেই বলে জানান। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো মামলা করা হলে সেটি রেজিস্ট্রারকে করতে হয়, এজন্য তিনি করেছেন। বিচারের নামে আমাদের সঙ্গে প্রহসন করা হয়েছে। যার ফল আজকের এ রায়।
এদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জানান, রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় আসামিরা যে জড়িত তা প্রমাণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন।
ফলে রায়ে সব আসামিই বেকসুর খালাস পাওয়ার দাবি রাখে। তাই তারাও উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মো. গোলাম মর্তুজা।
এর আগে রাবি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আট আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এক জনাকীর্ণ আদালতে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার রায় এ রায় ঘোষণা করেন।