ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | প্রকাশিতঃ ১৭:০২, ১৩-০৪-১৯
সুদানে চলমান বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৬ জন। এতে আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ তথ্য দিয়েছে দেশটির পুলিশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের মুখপাত্র হাসেম আলী বলেন, বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ভবনে হামলা চালিয়েছে।
দারিদ্র্যপীড়িত সুদানে বিগত তিনমাস ধরেই রুটি ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে দেশটির রাষ্ট্রপতি বশির আল-ওমরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের হটাতে নিরাপত্তা বাহিনীর বলপ্রয়োগের কারণে উল্টো এই বিক্ষোভ তার পতনের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনে রূপ নেয়।
এসব ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) প্রেসিডেন্ট বশিরের পদত্যাগ ঘোষণা করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এতে আনন্দে মেতে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। তবে সে আনন্দ ছিল কিছু মুহূর্তের মাত্র। কারণ বশিরের পদত্যাগের পর ক্ষমতা নেয় দেশটির সামরিক বাহিনী।
সেনাবাহিনীকে বশিরেরই অংশ হিসেবে দাবি করে ফের বিক্ষোভ করতে থাকে আন্দোলনকারীরা। এরপর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করে সামরিক বাহিনী। তবে জরুরি অবস্থার তোয়াক্কা না করে নিজেদের বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে দেশটির জনগণ।
শুক্রবার রাজধানী খার্তুমে চলমান এ বিক্ষোভে দেশটির কয়েক হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে।
১৯৮৯ সালে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থাকাকালে বশির আল-ওমর ‘অভ্যুত্থান’ ঘটিয়ে তৎকালীন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সাদিক আল-মাহদীকে উৎখাত করেন। পরে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেন তিনি। কয়েকবছর ধরে তার বিরুদ্ধে ‘সামরিক অভ্যুত্থান’ চেষ্টা হয়েছিলো। কিন্তু সেসব উতরে ৩০ বছর ধরে দারিদ্র্যপীড়িত দেশটির ক্ষমতায় আসীন ছিলেন তিনি।