চৈত্র সংক্রান্তি কাল

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | প্রকাশিতঃ ২০:৫৮, ১২-০৪-১৯

বাংলা বছরের শেষ মাসের শেষ দিন কাল। এ দিনটিকে চৈত্র সংক্রান্তি বলা হয়। ১৪২৫ বঙ্গাব্দের শেষ দিনও। পরের দিন রোববার পহেলা বৈশাখ-নতুন বাংলা বর্ষ ১৪২৬। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে কাল এ আহ্বান জানাবে গোটা বাঙালি জাতি।

বাংলা বছরের শেষ দিন হওয়ায় চৈত্র মাসের এ দিনটিকে বলা হয় চৈত্র সংক্রান্তি। বাংলার বিশেষ লোকজ উৎসব এই চৈত্র সংক্রান্তি। চিরায়ত অসাম্প্রদায়িক বাঙালির কাছে চৈত্র সংক্রান্তি এক বৃহত্তর লোক উৎসবে পরিণত হয়েছে।

রোববার সকালে ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। তেমনি পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুনকে বরণ করে নিতে ঢাকাসহ সারা দেশে আগামীকাল শনিবার পালিত হবে চৈত্র সংক্রান্তির নানা আয়োজন। শেষ হবে যা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে।

বাংলা উইকিপিডিয়া সূত্রমতে, চৈত্র থেকে বর্ষার প্রারম্ভ পর্যন্ত সূর্যের যখন প্রচণ্ড উত্তাপ থাকে তখন সূর্যের তেজ প্রশমন ও বৃষ্টি লাভের আশায় কৃষিজীবী সমাজ বহু অতীতে চৈত্র সংক্রান্তির উদ্ভাবন করেছিল।

চৈত্র সংক্রান্তি এক সময় গ্রামীণ জনপদের প্রধান উৎসব হলেও কালের প্রবাহে একসময় নাগরিক জীবনেও স্থান করে নেয় । এ উপলক্ষে দেশজুড়ে এখনো চলে নানা ধরনের মেলা, উৎসব। হালখাতার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, গান, আবৃত্তি, সঙযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠান।

তবে বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুসারীরা চৈত্র সংক্রান্তি পালন করবেন রোববার। এদিন পুরান ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আয়োজন করা হয় ‘চৈত্র সংক্রান্তি’র শোভাযাত্রা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হয় শুভ হালখাতার।

বছরের শেষ এ দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করেন শাঁখারীবাজারের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। পুরান ঢাকার এ অঞ্চলটিতে একদল শিব-পার্বতী সেজে খোল-কর্তাল, মন্দিরার তালে তালে কীর্তন করে ছুটে চলেন এক মহল্লা থেকে আরেক মহল্লায়।

এদিকে রাজধানী ঢাকাতেও আগামীকাল চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে থাকছে নানা আয়োজন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে চৈত্র সংক্রান্তি পালন করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি, রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসব অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মেলা, ঘুড়ি উৎসব, রকমারি সব ঘুড়ির প্রদর্শনী, গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় লাঠি খেলা। এ ছাড়া থাকছে পুঁথি পাঠ, পুতুলনাট্য, পালাগান, গম্ভীরা ও রায়বেশের মতো লোকসংস্কৃতির নানা আয়োজন।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top