তারল্য সংকট কাটাতে বন্ড ইস্যুর অনুমতি চায় ডিবিএ-বিএমবিএ

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | আপডেট: ২০:৩৬, ০৯-০৪-১৯

পুঁজিবাজারে চলমান তারল্য সংকট কাটাতে বন্ড ইস্যুর সুযোগ চেয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যেসব সহযোগী প্রতিষ্ঠান মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারহাউজ হিসেবে বাজারে সক্রিয় রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠান যাতে সহজেই বন্ড ইস্যু করে তহবিল সংগ্রহ করতে পারে সে সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠন দুটি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ডিবিএর সভাপতি মোঃ শাকিল রিজভী এবং বিএমবিএর সভাপতি মোঃ নাছির উদ্দিন চৌধুরী। এ সময় বিএমবিএর সাবেক সভাপতি মোঃ ছায়েদুর রহমান, ডিবিএর সহ-সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের আগে ডিবিএ ও বিএমবিএর নেতৃবৃন্দ বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। ডিএসইতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর্যবেক্ষণ এবং সুপারিশগুলোই সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়।

উল্লেখ, বেশ কিছুদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারের অবস্থা বেশ নাজুক। প্রায় প্রতিদিনই সূচক কমছে। লেনদেনও নামমাত্র। গত আড়াই মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৩০ পয়েন্ট কমেছে। শুধু গতকাল আর আজকে মিলিয়ে এই সূচক ১১৫ পয়েন্ট কমেছে। এই ব্যাপক দরপতনে  ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী সবার মধ্যেই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা অনেকটা হতাশ, আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ। অন্যদিকে লেনদেন কমে যাওয়ায় বেশিরভাগ ব্রোকারহাউজের পক্ষে পরিচালন ব্যয় মেটানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় আজ জরুরি বৈঠক করে ডিবিএ ও বিএমবিএ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বেশ কিছুদিন ধরে বাজার অস্থির। এর পেছনে তারল্য সংকট, ব্যাপকভাবে বোনাস শেয়ার ইস্যু, রাইট শেয়ার ইস্যুসহ বেশ কিছু কারণ রয়েছে। অন্যদিকে টানা পতনের কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্যানিকড হয়ে যাওয়ায় তার প্রভাবও পড়ছে বাজারে।

তারল্য সংকট লাঘবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের নিজস্ব সক্ষমতা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন বিএমবিএ সভাপতি মোঃ নাছির চৌধুরী। তিনি বলেন, বিভিন্ন ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যেসব ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক কাজ করছে, তারা অনেক সময় মূল ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়ে বিনিয়োগ করে। কিন্তু সিঙ্গেল পার্টি এক্সপোজারসহ নানা সীমাবদ্ধতার কারণে তাদেরকে সমস্যায় পড়তে হয়। এমন অবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলো যদি সহজেই বন্ড ইস্যু করতে পারে এবং ওই বন্ডকে মূল ব্যাংকের এক্সপোজারের বাইরে রাখা হয়, তাহলে তাদের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়বে।

তিনি বলেন, এই বিষয়ে সহায়তা করার জন্য শিগগিরই তারা বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে লিখিত অনুরোধ জানাবেন।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top