ডেস্ক রিপোর্ট : পবিত্র মাহে রমজান আত্মশুদ্ধির মাস, সিয়াম সাধনার মাস। পাপমুক্ত হওয়ার মাস। রমজানের মতো মোবারক মাস পেয়েও যারা নিজের গুনাহ ক্ষমা করিয়ে নিতে অক্ষম হয়, রাসুল (সা.) তাদের অভিশাপ দিয়েছেন।আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ওই ব্যক্তি ধুলোয় ধূসরিত হোক, যার কাছে আমার নাম উল্লিখিত হলো; কিন্তু সে আমার ওপর দরুদ পাঠ করেনি।
ওই ব্যক্তি ধুলোয় ধূসরিত হোক, যার কাছে রমজান মাস এলো অথচ তার গুনাহ মাফ হওয়ার আগেই তা অতিবাহিত হয়ে গেল। ওই ব্যক্তি ধুলোয় ধূসরিত হোক, যার নিকট তার বাবা-মা বৃদ্ধে উপনীত হলো; কিন্তু তারা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করায়নি (সে তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করে জান্নাত অর্জন করেনি)। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৫)
আরও পড়ুন : ২৫ হাজার টাকা বেতনে এনজিওতে চাকরি
তাই প্রতিটি মুমিনের উচিত পবিত্র রমজান মাসে ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি বেশি বেশি তাওবা-ইস্তিগফারে মগ্ন থাকা। বিশেষ করে মাগফিরাতের এই দশকে তাওবা-ইস্তিগফারে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। মহান আল্লাহর কাছে বিশুদ্ধ হৃদয়ে খাঁটি তাওবা করলে তিনি অবশ্যই ক্ষমা করবেন। বান্দার পাপ যতই হোক না কেন, আল্লাহর রহমত তার চেয়ে অগণিত গুণ বেশি। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর কেউ কোনো মন্দ কাজ করে অথবা নিজের প্রতি জুলুম করে পরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহকে সে ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু পাবে। ’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১১০)
একটি কথা না বললেই নয় যে শুধু মুখে ‘আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহি’ বলার নাম তাওবা ও ইস্তেগফার নয়। আলেমরা এ বিষয়ে একমত যে গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তি যদি সে জন্য অনুতপ্ত না হয় এবং তা পরিত্যাগ না করে কিংবা ভবিষ্যতে পরিত্যাগ করতে সংকল্পবদ্ধ না হয়, তবে মুখে মুখে ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলা তাওবার সঙ্গে উপহাস বৈ কিছু নয়।
তাওবার জন্য মোটামুটি তিনটি বিষয় জরুরি; (১) অতীত গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া, (২) উপস্থিত গুনাহ অবিলম্বে ত্যাগ করা এবং (৩) ভবিষ্যতে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে দৃঢ়সংকল্প হওয়া। তা ছাড়া বান্দাহর হকের সঙ্গে যেসব গুনাহর সম্পর্ক, সেগুলো বান্দাহর কাছ থেকেই মাফ করিয়ে নেওয়া কিংবা হক পরিশোধ করে দেওয়া তাওবার অন্যতম শর্ত। মহান আল্লাহ প্রতিটি মুসলমানকে পবিত্র রমজানে পাপমুক্ত হওয়ার তাওফিক দান করুন।