সচিবালয়ের ভবনগুলোর অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক করবে সরকার

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | আপডেট: ১৮:১৭, ০৮-০৪-১৯

প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ের ভবনগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে সরকার বৈঠক করবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

সোমবার (০৮ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর একথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্বে করেন।

তিনি বলেন, আমরা নিজেরাই মিটিং ডাকবো। এমনিতে পিডব্লিউডি এটার ব্যবস্থা নিচ্ছে। মেয়াদোত্তীর্ণ যেসব ফায়ার এক্সটিংগুইশার(অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র)আছে সেগুলো চেক করে রিপ্লেস করা হচ্ছে। এগুলো যার যার মতো সবাই করছে। কিন্তু আমরা ইন এ বডি সবার সঙ্গে এটা নিয়ে মিটিং করবো।

মিটিংয়ের তারিখ এখন ঠিক না হলেও তা তাড়াতাড়ি সংশ্লিষ্ট সচিবদের নিয়ে তা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সচেতনতা বাড়াতে সবাইকে নিয়ে মিটিং করা হবে।

সচিবালয়ের ভবনগুলোতে কী আগুনের ঝুঁকি আছে- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পিডব্লিউডি’র বিল্ডিংগুলোতে একটা বৈশিষ্ট্য দেখবেন যে, এটার সবগুলোতেই সার্কিট ব্রেকার আছে। যদি শর্ট সার্কিট হয় তাহলে অটোমেটিক বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই শর্ট সার্কিট হওয়ার ঝুঁকি কম। অলমোস্ট নেই বললেই চলে। এগুলো যান্ত্রিকভাবে করা হয়েছে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে আগুনের বিষয়ে সোমবার কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

গত মন্ত্রিসভার সচিবালয়ে ৬ নম্বর ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন বারান্দাগুলো কেন ন্যারো- এ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা জেনারেল সমস্যা। আমাদের ভবনগুলো মাক্স বক্সের মতো। বনানীর আগুনের ঝুঁকিতে পড়ে গেলো, এটা ছিলো অনেকটা বাক্সের মতো। এর কোনো জানালা- ব্লক নেই। এটা কাঁচ দিয়ে ঘেরা, এসি, এয়ার কন্ডিশন। যে কারণে আপনারা দেখছেন যারা বের হওয়ার জন্য চেষ্টা করেছেন গ্লাস ভেঙে তারপরে বেড়িয়েছেন। এগুলো প্রধানমন্ত্রী বহুবার বলেছেন যে একটু খোলামেলা করা, বারান্দা রাখা। বারান্দা রাখলে কী সুবিধা হতো কী- বারান্দায় গিয়ে একটা কাপড় দিয়ে ঝুলে নেমে যেতে পারতো। কিন্তু বারান্দা নেই। সচিবালয়ের যে ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলো তো আর বড় করা যাবে না। মসজিদের পাশে বড় বিল্ডিং হবে ২০তলা। সেটার মধ্যে এসব বিষয় অ্যাড্রেস করে করা হবে।

অন্য কোনো ঝুঁকি আছে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের এই ভবনে (১ নম্বর ভবন) ব্যাপারে একটা সতর্কতা আছে যে, এখানে যদি আর্থ কোয়েক (ভূমিকম্প) হয়, এগুলোতে দুর্বল। এটার বেইজটা অনেক পুরনো ধরেন ৬০-৭০ বছর আগে তৈরি করা এ ভবনটি। এটা নিয়ে একটু ঝুঁকি আছে।

নতুন করে বিল্ডিং নির্মাণ হলে সচিবালয় স্থানান্তরের প্রক্রিয়ার কী হবে- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেটা কবে হয় বলা মুশকিল। তবে এটার প্ল্যান প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। মসজিদের পাশে টিনশেডগুলো সরিয়ে ওখানে হাইরাইজ বিল্ডিং করা হবে, এটার প্ল্যান প্রায় শেষ।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top