প্রতিযোগীতা যখন চড় মারার

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | আপডেট: ২১:৫০, ০৭-০৪-১৯

পৃথিবীব্যাপী প্রতিনিয়তই সংগঠিত হয়ে যাচ্ছে নানান প্রতিযোগীতা। এসকল প্রতিযোগীতা কখনো ফুটবল ক্রিকেটের মত বড় পরিসরে হয় আবার কখনো বা কোনো ছোট পরিসরে অঞ্চলিক গানের প্রতিযোগীতা। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন কে কত জোরে চড় মারতে পারে এমন প্রতিযোগীতাও হতে পারে। হ্যাঁ, রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় এমনি এক অদ্ভুত প্রতিযোগীতা সংগঠিত হয় যেখানে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে চড় মারতে থাকে এবং যে এভাবে চড় মেরে অন্যজনকে পরাজিত করতে পারে সেই বিজয়ী হয়। এই প্রতিযোগীতা ওয়ার্ল্ড স্ল্যাপিং কম্পিটিশন নামেই পরিচিত। তাহলে জেনে নেয়া যাক অদ্ভুত এই প্রতিযোগীতা সম্পর্কে-

পুরো পৃথিবীর কাছে রাশিয়ানরা এক অদ্ভুত জাতি হিসেবেই পরিচিত। শক্তি, সাম্যর্থ প্রদর্শন কিংবা অদ্ভুত সব নিয়মাবলি সকল দিক থেকেই রাশিয়ানরা এগিয়ে। তবে এই চড় মারার প্রতিযোগীতা রাশিয়ানদের  অদ্ভুত জাতি হিসেবে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে। কে বা কীভাবে এই প্রতিযোগীতা শুরু করেছিল তা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে প্রতি বছর গ্রীষ্মের শুরুতে অর্থাৎ এপ্রিল মাসে এই প্রতিযোগীতা সংগঠিত হয়। এই প্রতিযোগীতার একটি ভিডিও ২০১৮ সালে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হলে পুরো বিশ্বব্যাপি মানুষ অদ্ভুত এই প্রতিযোগীতা সম্পর্কে জানতে পারে। তবে ২০১৮ সালের পূর্বেও সাইবেরিয়ার ক্রাসনয়ার্সকে এই প্রতিযোগীতা সংগঠিত হয়েছিল। এই প্রতিযোগীতায় পুরো ইউরোপ এবং রাশিয়া থেকে প্রায় ২ হাজার ক্রীয়াবিদ যোগ দিয়ে থাকে। দু’দিন ব্যাপি সংগঠিত হয় এই ওয়ার্ল্ড স্ল্যাপিং কম্পিটিশন।

অন্যান্য সকল প্রতিযোগীতা থেকে ভিন্ন হলেও স্ল্যাপিং কম্পিটিশনেরও নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। স্ল্যাপিং কম্পিটিশনে দুই প্রতিযোগীকে প্রথমে একটি ছোট টেবিলের দুই পাশে দাড় করানো হয়। টেবিলের উপরে হাত মসৃণ এবং হাতে গ্রিপ আনার জন্য থাকে সাদা পাউডার। এছাড়াও প্রতিযোগী শুরু হওয়ার পূর্বে দু’জন প্রতিযোগীকেই নিজেদের ভঙ্গিমা ঠিক করার জন্য কিছুক্ষণ সময় দেয়া হয়। এই প্রতিযোগীতায় একজন রেফারিও থাকে।

যে কিনা খেলার  নিয়ম ঠিকমত পালিত হচ্ছে কিনা তা খাতিয়ে দেখে এবং কোনো প্রতিযোগী আহত হলে প্রতিযোগীতা বন্ধ করে বিজয়ী নির্ধারণ করেন। তবে প্রতিযোগীতার মধ্যে প্রতিযোগীদের মধ্যে একমাত্র নিয়ম হল কোনো প্রতিযোগীই অন্য প্রতিযোগীর চড় থেকে সরে যেতে পাড়বেনা। প্রতিযোগীতাটি রেফারির বাঁশির মাধ্যমে শুরু হয় এবং রেফারি যতক্ষণ শেষ করার নির্দেশ না দেয় ততক্ষণ চলতে থাকে। তবে যেকোনো প্রতিযোগী চাইলেই যেকোনো সময় খেলা বন্ধ করে দিতে পারে।

এই অদ্ভুত যন্ত্রণাদায়ক প্রতিযোগীতা শুরু হওয়ার কারণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া না গেলেও ধারনা করা হয় যে রাশিয়ান পুরুষেরা নিজেদের পৌরষত্ব প্রকাশের জন্য এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। তাছাড়াও এই প্রতিযোগীতায় বিজয়ী প্রতিযোগী পুরষ্কার হিসেবে পেয়ে থাকে ৩০ হাজার রুবেল।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top