চিতলমারীর চারিদিকে এখন ‘ফাতেমা ধান’র গল্প

চিতলমারী প্রতিনিধি, Prabartan | আপডেট: ২২:২০, ০৭-০৪-১৯

চলতি বেরো মৌসুমে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চারিদিকে এখন ‘ফাতেমা ধান’র গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলার রায়গ্রামের সুব্রত বাগচী ও তাঁর ২ ভাই মিলে প্রায় ১৭ বিঘা জমিতে ব্যতিক্রম এই ধান চাষ করেছেন। ধানের বাম্পার ফলনের আশাও করছেন তারা। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা হতে মানুষেরা ছুটে আসছেন নয়নাভিরাম এই ধান ক্ষেত দেখার জন্য।

এলাকাবাসীরা জানান, রায়গ্রামের সুব্রত, দেবব্রত ও সুমন বাগচী এই তিন ভাই মিলে চিতলমারী এলাকায় নতুন এই ধানের চাষ করেছেন। সুব্রত পেশায় শিক্ষক, দেবব্রত কৃষক ও সুমন বাগচী ফকিরহাট উপজেলায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চাকুরী করেন।
চিতলমারী সদর ইউনিয়নের রায়গ্রামের জ্যোতিন্দ্রনাথ বাগচীর ছেলে সুব্রত বাগচী জানান, ফাতেমা বেগমের কাছ থেকে প্রতিকেজি ছয়শ’ টাকা দরে ১০ কেজি ধানবীজ তিনি সংগ্রহ করেন। সেই ধান ১৭ বিঘা জমিতে রোপন করেন। অল্প বীজে অধিক জমি রোপন করতে পেরে তিনি খুশি। এই ধানের খড় অত্যন্ত শক্ত হওয়ায় ঝড়-বৃষ্টিতে কোন ক্ষতি হয়নি। এছাড়া তার জমির মাটিতে লবনাক্ততা আছে।

সুমন বাগচী জানান, বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলিয়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম এই ধান চাষ করে গত বছর ব্যাপক ফলন পায়। বিষয়টি এতদাঞ্চলে আলোচনার ঝড় তোলে। সেই থেকে তারা ধানটি চাষের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। এবছর বোরো মৌসুমে ধানটি চাষ করতে পেরে তারা খুব খুশি। ধানের বাম্পার ফলন হবে বলেও তারা আশাবাদি।

চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার এ বিষয়ে বলেন, ‘গত বছর আবিষ্কৃত হয় এই ধান। এই ধান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ সংশ্লিষ্টরা গবেষণা করছেন। তাদের গবেষণার ফলাফল পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top