ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | আপডেট: ১৯:০২, ০৩-০৪-১৯
মেধা থাকলে বিশ্ব জয় করা যায়। একটি ল্যাপটপ দিয়ে বিশ্বকে হাতের মুঠোয় আনা সম্ভব। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সুযোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই। এর মাধ্যমেই আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। মনে রখতে হবে আত্মহত্যা নয়, আত্মকর্মসংস্থানই সঠিক পথ।
বুধবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে আয়োজিত শিক্ষিত তরুণ-তরুণী ও যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সফল উদ্যোক্তা ও প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিমন্ত্রী।
পলক বলেন, তরুণ জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি অভিভাবকদেরও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে সচেতন করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে সফলদের কাহিনী তরুণদের শোনাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে ও ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভাবনায় বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আইসিটি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হাইটেক পার্ক, আইসিটি ইনকিউবেটর, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের মাধ্যমে সরকার আইসিটি বিষয়ক জ্ঞান আহরণ ও প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। দেশে আজ প্রায় ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করে চলেছে।
কোনো প্রকার সরকারি সহায়তা ছাড়া তরুণদের জন্য আইসিটিভিত্তিক ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য খুলনা জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ৫০টি ল্যাপটপ ও পাঁচ লাখ টাকা সহায়তার আশ্বাস দিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, খুলনা মডেল তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় বিষয় হতে পারে। আগামীতে হাইটেক পার্ক বাস্তবায়িত হলে খুলনা কেবল বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের অন্যতম নগরীতে পরিণত হবে। তবে সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা ও সরকারি অর্থের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
খুলনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া এবং হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক গোলাম মোস্তফা। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত খুলনা বিভাগের সব জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), খুলনা জেলায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাবের মনিটরিং কর্মকর্তা (ইউএনও), আইসিটি ও কম্পিউটার শিক্ষক, ইউডিসি উদ্যোক্তা এবং আইসিটি বিভাগ বাস্তবায়িত ইনফো সরকার প্রকল্প ফেইজ-৩ এরং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এর আগে সকালে প্রতিমন্ত্রী খুলনায় প্রস্তাবিত হাইটেক পার্ক স্থাপনের জমি এবং শেখ রাসেল ইকোপার্ক পরিদর্শন করেন।