মহাকাশে বিপজ্জনক বর্জ্য

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | আপডেট: ২০:৫৪, ০২-০৪-১৯

ভারতের যে লো অরবিট স্যাটেলাইটটি ধ্বংস হল, সেই বিপুল পরিমাণ ধ্বংসাবশেষ তো মহাকাশেই থাকছে। অন্তত স্যাটেলাইটটির ফলে নাসা আপত্তি তুলে বলছে এতে অরবিটাল ডেবরিস বা অন্তরীক্ষ বর্জ্য আরও বেড়ে গেল। যা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের বিজ্ঞানীদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। অর্থাৎ ভারতের অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল অপারেশন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। নিউজ এইট্টিন

নাসা বলছে, ভারতের ‘মিশন শক্তি’, ‘খুব ভয়াবহ ব্যাপার’। তীব্র গতিতে ঘোরাঘুরি করা ওই বর্জ্য যে কোনও মুহূর্ত আঘাত হানতে পারে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। তীব্র গতিতে ঘোরাঘুরি করা ওই বর্জ্য যে কোনও মুহূর্ত আঘাত হানতে পারে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বিজ্ঞানীদের।

ভারতের অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল পরীক্ষার ৫ দিন পরে সোমবার নাসা’র বিজ্ঞানী জিম ব্রাইডেনস্টাইন কর্মীদের উদ্দেশ্যে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভারতের ধ্বংস হওয়া লো অরবিট স্যাটেলাইটটি গুঁড়িয়ে গিয়ে ৪০০টি ধ্বংসাবশেষ সৃষ্টি করেছে। ‘অবজেক্ট বা ধ্বংসাবশেষগুলি বেশ বড় আকারের। সহজেই ট্র্যাক করা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যতগুলি অবজেক্ট ট্র্যাক করা গিয়েছে, তা গড়ে ৬ ইঞ্চির বেশি আকারে বড়। ৬০টি ধ্বংসাবশেষের গতিবিধি চিহ্নিত করতে পেরেছে নাসা।

ব্রাইডস্টাইন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত ভয়াবহ ও বিপজ্জনক। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের কাছাকাছিই লো অরবিট স্যাটেলাইটটি ধ্বংস করেছে ভারত। স্পেস স্টেশনের পক্ষে যা মারাত্মক আশঙ্কার। এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভারতের এই কীর্তি আমাদের উপর কী প্রভাব ফেলবে, তা মানুষকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত নাসা-র। হিউম্যান স্পেস ফ্লাইটের ভবিষ্যতের পক্ষেও এই ধরনের কাজ অত্যন্ত নিন্দাজনক ও বিপজ্জনক।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top