বিশ্বের সবচেয়ে অদ্ভুত চিড়িয়াখানা – থাইল্যান্ড

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | আপডেট: ১২:০০, ০১-০৪-১৯

এ বছর অতিরিক্ত গরম পড়েছে। তাপমাত্রার এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে মানুষের অবস্থা কাহিল। বিশেশ করে, মধ্য দুপুরে গনগনে সূর্য যখন মাথার উপরে থাকে, মানুষের দুর্ভোগ তখন মাত্রা ছাড়ায়। গরমে মানুষের কষ্ট তো হয়ই, কিন্তু এই আবহাওয়ার চিড়িয়াখানার পশুপাখিদের কি অবস্থা হয় তা কি আমরা চিন্তা করি? আমাদের দেশে এত মানুষ যে মানুষ নিয়ে চিন্তা করেই আমরা কুল পাই না। পশুপাখির চিন্তা করব কখন? অথচ আমাদের নিকটবর্তী দেশ থাইল্যান্ডে গেলে ঠিক উল্টো চিত্র দেখতে পাবেন। থাইল্যান্ডের অদ্ভুত চিড়িয়াখানা গুলোতে পশুদের গরমের প্রকোপ থেকে বাঁচাতে এক অভিনব কায়দা খুঁজে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ সেই অভিনব দৃশ্য দেখাতে আমরা আপনাদের নিয়ে যাব সেই থাইল্যান্ডের চিড়িয়াখানায়। থ্রিলার মাস্টার এর সাথেই থাকুন।

অদ্ভুত চিড়িয়াখানা – থাইল্যান্ড

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত ব্যাংকক ন্যাশনাল জু। প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থী আসেন এই চিড়িয়াখানা ঘুরতে। প্রথমেই চলুন বানরের খাচার দিকে যাওয়া যাক। এখানে দেখা যাবে দলে দলে বানরেরা হুবুহু মানুষের মত করে হাতে ধরে আইসক্রিম খাচ্ছে!

ভাল্লুকের খাচার কাছে গিয়ে গেখা গেল সেখানে একজন কর্মী বরফ জাতীয় ফ্রুট সালাদ খেতে দিচ্ছে ভাল্লুকদের। ছোট ছোট ভাল্লুকের দল সেই খাবার খুব মজা করে খাচ্ছে! অনেকে খাছে আইস ক্রিম। দারুণ এক মজার দৃশ্য! প্রতিদিন অনেক মানুষ এসে ভিড় করে এই দৃশ্য দেখে।

হাতির খাচার সামনে গিয়ে দেখা গেল আরেক মজার দৃশ্য। একজন কর্মী একটা হাতিতে হাউজের পানিতে ডুবিয়ে গোসল করাচ্ছে। পাম্পের পাইপ থেকে দেওয়া হচ্ছে মাটির নিচের ঠাণ্ডা পানি। গোসল করানোর পর হাতিকে দেওয়া হল বরম জাতীয় ঠাণ্ডা খাবার। কিছু হাতি খাচ্ছে, বাকিরা সুড়ে বরফ পেচিয়ে খেলছে মজার খেলা।

চিরিয়াখানার অন্যান্য প্রাণীদেরও ঠাণ্ডা খাবার খেতে দেওয়া হচ্ছে এখানে। প্রচন্ড গরমে অবস্থা যখন চরমে, তখন চিড়িয়াখানার প্রাণীদের গরমের উত্তাপ থেকে বাঁচাতে এই অভিনব ব্যবস্থা গ্রহন করেছে ব্যাংককের চিড়িয়াখানা। আমাদের দেশেও এই পদ্ধতি অনুসরন করা উচিত। তাতে করে বোবা প্রাণীগুলো গরমে একটু স্বস্তি খুঁজে পাবে।

চিরিয়াখানার ম্যানেজার বললেন, “গরমে মানুষের যেমন কষ্ট হয়, ঠিক তেমনি পশুদেরও অনেক কষ্ট হয়। গত বছর গরমের সময় আমাদের চিড়িয়াখানার বেশ কিছু প্রাণী মারা গিয়েছিল। তাই এ বছর আমরা আগে থেকে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা পশুদের গরম থেকে বাঁচাতে ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার খেতে দিচ্ছি। তাই তারা সুস্থ স্বাভাবিক আছে”।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top