ডেস্ক রিপোর্ট: ৪৫তম বিসিএসের আবেদনের শেষ তারিখ আজ। সন্ধ্যা ৬টার পর আর আবেদন করা যাবে না বলে জানিয়েছেন পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস।
গত ১০ ডিসেম্বর বিসিএসের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে অনলাইনে এই আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। আজ শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এই বিসিএসে আবেদন করা যাবে। ৩০ নভেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ওয়েবসাইটে এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে। ক্যাডার পদের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিএসসি। ক্যাডার পদে যেমন পছন্দ নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়, তেমনই নন-ক্যাডার পদেও পছন্দের তালিকা নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন প্রার্থীরা।
প্রথমবারের মতো ক্যাডার পদের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদেও পছন্দের তালিকা নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন প্রার্থীরা। ৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এ ছাড়া পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪, প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
আবেদনের ফি ৭০০ টাকা। তবে কোটাধারীদের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে এবং প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর ও ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুলের জন্য মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ০.৫০ নম্বর করে কাটা যাবে।
এদিকে ৪৫তম বিসিএসের আবেদন করতে গিয়ে সমস্যা হওয়ায় ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের কোড সংশোধন করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
এবারই প্রথমবারের মতো ক্যাডার পদের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিএসসি। আবেদনের সময় ক্যাডার পদে যেমন পছন্দ নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়, তেমনই নন-ক্যাডার পদেও পছন্দের তালিকা নির্দিষ্ট করে দিতে পারছেন প্রার্থীরা। কিন্তু আবেদন করতে গিয়ে কিছু সমস্যায় পড়েন আবেদনকারীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের কোড সংশোধন করে পিএসসি।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ক্যাডার পদের একটি কোড ও নন-ক্যাডার পদের দুটি কোড নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে। রেলওয়ের সহকারী বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী পদের কোড বাদ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে কিছু পদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয় কোড এবং লিখিত পরীক্ষার পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ের কোড নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে।