রাতে কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | আপডেট: ১৮:২১, ০১-০৪-১৯

রোববার (৩১ মার্চ) রাতে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ঢাকা। গাছপালা উপড়ে পড়ার পাশাপাশি বিলবোর্ড উল্টে পড়ে। ঝড়ের কবলে পড়ে প্রাণ গেছে অন্তত তিনজনের। ঝড়ের কারণে কোনো কোনো জায়গায় ছয় ঘণ্টার বেশি সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল ঢাকা। এমন ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে সোমবারও (০১ এপ্রিল)।

আবহাওয়া অফিস বলছে, এখন কালবৈশাখীর মৌসুম। তবে এবার দুযোগপূর্ণ আবহাওয়া শুরু হয়েছে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি থেকে। বাংলার প্রকৃতিতে সবচেয়ে দুর্যোগপূর্ণ মার্চ, এপ্রিল, মে এবং জুন মাস। এ কয়েক মাসেই সচরাচর বজ্রবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, কালবৈশাখী আঘাত হানে।

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, রোববার আঘাত হানা ঝড়ে প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭৪ কিলোমিটার। এটা কালবৈশাখী ঝড়।

এ মৌসুমে ঢাকায় এটাই বড় ঝড় বলে জানান আবহাওয়াবিদ আরিফ।

প্রতিঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ৬০ কিলোমিটারের উপরে থাকলে সেটি কালবৈশাখী ঝড় হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদফতর।

ওই ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি, বজ্র ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় ৩৮ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ১৭ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ৪ মিলিমিটার, সিলেটে ২৪ মিলিমিটার, রাজশাহীতে ২৫ মিলিমিটার, রংপুরে ৩০ মিলিমিটার, খুলনায় ১৪ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ ৪৩ মিলিমিটার হয়েছে কুমিল্লায়।

আরিফ হোসেন আরও বলেন, সোমবারও (১ এপ্রিল) ঢাকায় ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। রাতের মধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৯ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়োহাওয়া ও শিলাবৃষ্টিসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

রাজশাহী, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, ঢাকা, কুমিল্লা এবং নোয়াখালী অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

ঢাকায় দক্ষিণপূর্ব/পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার থেকে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ পশ্চিম/উত্তর পশ্চিম দিকে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে।

পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়, এই সময়ে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top