খুমেক হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে মারধোরের অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | আপডেট: ২২:৩৯, ১৯-০৩-১৯

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীর স্বজনদের মারধরের অভিযোগে পাওয়া গেছে।

সোমবার হাসপাতালের ২১২ নম্বর রুমের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার এই ছাত্রীকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে বটিয়াঘাটা থেকে মেয়েকে নিয়ে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন নাছিমা বেগম। বহির্বিভাগের ২১২ নম্বর রুমের সামনে লম্বা লাইনের পেছনে ছিলো তারা। তাদের অভিযোগ লাইন থেকে রোগী না নিয়ে বাইরে থেকে রোগী নিচ্ছিলেন চিকিৎসক। এক পর্যায়ে রুমের ভেতর থেকে বাইরে যান চিকিৎসক ডাঃ সুমন রায়। বিষয়টি নাছিমা বেগমের মেয়ে কলেজ ছাত্রী ফেসবুকে লাইভে ভিডিও ধারণ করে প্রচার করে। তখন চিকিৎসকের রুমে থাকা এটেনডেন্টরা এসে ভিডিও করতে বাধা দেয় এবং ঐ ছাত্রী এবং বিএল কলেজের ছাত্র আবু হানিফ শেখকে ডেকে চিকিৎসকের রুমে নিয়ে যায়।

আবু হানিফ ও ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, চিকিৎসকের রুমে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চিকিৎসকের এটেনডেন্টরা। এ সময় ধস্তাধস্তিতে সে পেটে আঘাত পায়। ঘটনা জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি মীমাংসা করে হাসপাতালের বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ও খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ এটিএম মোর্শেদ, সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমতাজুল হক। ঘটনার ঘন্টাখানেক পর ছাত্রীর পেটে ব্যথা শুরু করলে তাকে অসুস্থ অবস্থায় সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়।

সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডাঃ মনোয়ার হোসাইন বলেন, তেমন কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সে ভালো আছে বাড়িতে চলে গেলে যেতে পারবে। তবে যেহেতু পেটে ব্যাথার কথা বলছে। তাই আল্ট্রাসনো লিখে দিয়েছি। আল্ট্রাসনো করা হলে ব্যথার কারণ জানা যাবে।

ডাঃ সুমন রায় বলেন, গত দিনের চিকিৎসা দেয়া কিছু রোগীর রিপোর্ট দেখছিলাম একই সাথে আজকের (গতকাল) রোগী দেখছিলাম। সাথে স্টাফ রোগীও এসেছিলো। তখন তত্ত্বাবধায়ক মহাদয় জরুরিভাবে ডেকে পাঠালে একজন ডাক্তার দিয়ে চলে যাই। সেখানে বসে শুনি আমার রুমের সামনে মারামারি হচ্ছে আবার ফেসবুকে লাইভ হচ্ছে। এসে সব কিছু শুনেছি। অভিযুক্ত রোগীর চিকিৎসা দিয়েছি। পরে আবার শুনেছি মেয়েটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ এটিএম মোর্শেদ বলেন সিভিল সার্জনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি ২১২ নম্বর রুমের সামনে মারামারি হচ্ছে। আমরা গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেছি। তাদের চিকিৎসা দিয়েছি। কিছুক্ষণ পড়ে শুনেছি মেয়েটি অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি হয়েছে। আবারো তাকে দেখতে গিয়েছিলাম।

বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ও খুমেক এর উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ বলেন ডাঃ সুমনকে হাসপাতালের প্রয়োজনেই ডেকে নেয়া হয়েছিলো। তখন রোগীদের কথা মাথায় রেখে সেখানে অন্য চিকিৎসক দেয়া হয়েছিলো। রোগীর স্বজন একটি মেয়ে ও অন্য একটি ছেলে রোগীদের ভিড় দেখিয়ে ফেসবুক লাইভে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করছিলো। এ সময় কয়েকজন কর্মচারীর সাথে একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি মীমাংসা করি।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top