বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি, prabartan | প্রকাশিত: ২০:৫৫, ১৭- ০৩-১৯
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বটিয়াঘাটা উপজেলায় নির্বাচনের আর মাত্র ১৫ দিন বাকী। নির্বাচন আগামী ৩১ মার্চ রবিবার। ইতমধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম খান। তবুও ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সরকারদলীয় প্রাথীদের প্রার্থীতা উন্মুক্ত থাকায় তারা প্রচার-প্রচারনা থেকে কোন অংশে পিছিয়ে থাকছে না।
কোন প্রার্থী দীর্ঘদিন যাবৎ সাধারণ মানুষের পাশে থেকে নানান ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে সেবাও দিয়েছেন বলে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। সংসদীয় এ আসন আওয়ামীলীগের দূর্গ হিসেবে খ্যাত হওয়া স্বত্বেও বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী কখনো নির্বাচিত হতে পারেনি।
দলীয় মতানৈক্যই এর মুল কারন বলে সাধারণ ভোটারদের অভিমত। শুধু তাই নয়, কোন কোন নেতার ব্যক্তিগত ইচ্ছার কারণেই দলীয় প্রার্থী উঠে আসতে পারেনি বলেও তাদের ধারণা। তাদের আরও অভিমত, এবার এ উপজেলায় প্রধান প্রধান বিরোধী দলগুলি নির্বাচনী মাঠে না নামায় সরকারদলীয় একাধিক প্রার্থী ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। কারন হিসাবে জানা গেছে, যেই নির্বাচিত হোক না কোন সেই হবে দলীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।
দুরদর্শীসম্পন্ন তরুন উদীয়মান অনেক নেতা এটা আঁচ করতে পেরে বিগত প্রায় এক বছর ধরে জনসাধারনের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে নিরবিছিন্ন ভাবে কাজ করে আসছেন। তারা নির্ঘুম ভাবে ভোটারদের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে স্বপক্ষ্যে সমর্থন আদায় করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে এগিয়ে থাকা উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী চয়ন বিশ্বাস অন্যতম।
তিনি দীর্ঘ প্রায় ২/৩ বছর যাবৎ দলীয় প্রার্থী হবেন বলে ঘোষনা দিয়ে ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে নিজেকে উপস্থাপন করে সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে তাদের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। তিনি এবার টিউবওয়েল প্রতিক নিয়ে লড়ছেন। এছাড়াও তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা তার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছে।
শুধু তাই নয়, যুবলীগনেতা শেখ রাসেল কবির (মাইক র্মাকা), ইকরাম শেখ (তালা মার্কা), তুহিন রায়(টিয়াপাখি মার্কা) পার্থসারথী দত্ত (উড়োজাহাজ মার্কা) নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। অন্যদিকে সিপিবি দলগত ভাবে এ নির্বাচনে অংশ না নিলেও সিপিবি নেতা কমঃ নিতাই গাইন প্রথম দিকে দলীয় ভাবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। দল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও, তিনি পরবর্তীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনপত্র জমা দিয়ে চশমা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রথম দিকে সিপিবি পরবর্তীতে দল ছাড়া নিবাচনী এই দুঃসাহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোন মতেই মেনে নিতে পারছেন না তার বিরোধী সরকারদলীয় অন্য সকল প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা। তারা চাইছেন যেই নির্বাচিত হোক না কেনো, সে যেনো দলের ভিতরে নির্বাচিত হয়। তাদের অভিমত সংসদীয় এ আসনের বটিয়াঘাটা উপজেলায় ভোটের দিক থেকে সিপিবির ভোট ব্যাংকের পরিসংখ্যান অতি নগন্য।
সেই আলোকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বিগত দুইবার সিপিবির প্রার্থী কি ভাবে নির্বাচিত হন তা তাদের বোধগম্য নয়! এটা কি সরকার দলীয় কোন নেতার ব্যাক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার প্রতিফলন, নাকি কি দলীয় সিন্ধান্ত তা তাদের জিজ্ঞাসা! অন্যদিকে মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৪ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে বর্তমান ভাইসচেয়ারম্যান বুলু রায় গাঙ্গুলী (প্রজাপতি মার্কা) মিসেস ইলোরা হাদি(কলস) খান রিজিয়া(ফুটবল) চঞ্চলা মন্ডল(পদ্ম ফুল) ও রেহানা আফরোজ জোৎস্না (হাঁস মার্কা)।