ডেস্ক রিপোর্ট, prabartan | প্রকাশিত: ১৬:২৪, ১০- ০৩-১৯
খুলনা-যশোর অঞ্চলের নয় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা নয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
রোববার (১০ মার্চ) সকাল ১০টায় নগরের খালিশপুর-নতুন রাস্তায় লাল পতাকা বিক্ষোভ মিছিল অংশ নেন হাজারো শ্রমিক।
বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে পাটকলের শ্রমিকরা অবিলম্বে নয় দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পাটকল শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সরদার মোতাহার উদ্দীন, শ্রমিক লীগ নেতা মুরাদ হোসেন, হেমায়েত উদ্দীন আজাদী ও খলিলুর রহমানসহ পাটকল শ্রমিক সিবিএ-নন সিবিএ নেতারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ এর রোয়েদাদসহ উল্লেখিত দাবি এবং সুপারিশ বাস্তবায়ন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের পি. এফ. গ্র্যাচুইটি ও মৃত শ্রমিকের বিমার বকেয়া প্রদান, টার্মিনেশন, বরখাস্ত শ্রমিকদের কাজে পুনঃবহাল, বরখাস্ত শ্রমিক, কর্মচারীদের শ্রম আদালত ও শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলার রায় পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ নিয়োগকৃত আইনজীবী মামলা না চালানোর মতামত দেওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) উচ্চ আদালতে আপিল করায় মিলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ী করা, পাট মৌসুমে পাটক্রয়ের অর্থ বরাদ্দ, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে বিএমআরই করাসহ নয় দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন, আমাদের দাবিগুলো এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। পাশাপাশি দাবিগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের নেতারা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বিজেএমসি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, শ্রম অধিদফতর মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দফতরে পাঠিয়েছেন।
এর আগে পাটখাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, বকেয়া মজুরি-বেতন পরিশোধ, মজুরি কমিশন কার্যকর ও প্রতি সপ্তাহের মজুরি প্রতি সপ্তাহে দেওয়াসহ নয় দফা দাবিতে সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ।
এ কর্মসূচির চতুর্থ দিনে খুলনার প্লাটিনাম, ক্রিসেন্ট, খালিশপুর, দৌলতপুর, দিঘলিয়ার স্টার, আটরা ও নওয়াপাড়া শিল্প এলাকার আলীম, স্টার্ন, জেজেআই, কার্পেটিং মিলের শ্রমিকরা স্ব স্ব মিল গেটে জড়ো হয়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
পাটকল শ্রমিকদের কর্মসূচির মধ্যে ছিল ৪ মার্চ রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল, ৮ মার্চ সারাদেশে পাটকল শ্রমিক সমাবেশ, ১০ মার্চ হরতাল পালনের সমর্থনে লাল পতাকা মিছিল, ১২ মার্চ ২৪ ঘণ্টা ধর্মঘট পালন, ১৯ মার্চ আবারও ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৪ মার্চ ঢাকায় বৈঠক।