ডেস্ক রিপোর্ট, prabartan | প্রকাশিত: ১২:৩০, ০৮- ০৩-১৯
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয় এইচআরডি শাখার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নেয়ার জন্য ১১ ও ১২ মার্চ ২০১৯ সালের ইমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম ভিসা আবেদন আহ্বান করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয় এইচআরডি শাখার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নেয়ার জন্য যে ভিসা প্রোগ্রাম চালু রেখেছে তাই ইপিএস বা ইমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম ভিসা। ইপিএস সিস্টেম এর আওতায় বাংলাদেশ সরকার এবং কোরিয়া সরকারের মধ্যে ২০০৭ সালে চুক্তি সম্পাদিত হয়। যার ফলে কোরিয়া সরকার ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নিচ্ছে যাচ্ছেন। চুক্তি অনুযায়ী কোরিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় দুই থেকে তিন হাজার শ্রমিক নিয়ে থাকে। ইপিএস সিস্টেম এর আওতায় বাংলাদেশ সহ ১৫ টি দেশ (বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, পূর্ব তিমুর, ইন্দোনেশিয়া, কিরগিজস্তান, লাওস, মঙ্গোলিয়া, মায়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, উজ্বেকিস্থান, ভিয়েতনাম) থেকে অদক্ষ শ্রমিক নেয়ার জন্য কোরিয়া সরকার প্রতি বছর অনলাইনে সার্কুলার দিয়ে থাকে।
ইপিএস কোরিয়ান ভিসায় আবেদন এর যোগ্যতাঃ
- প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩৯ বছর এর মাঝে হতে হবে
- যে ব্যক্তি জীবনে কখনো কারাবাস বা তার অধিক শাস্তি যোগ্য অপরাধ করেনি
- যাদের উপর বিদেশ ভ্রমনে বাংলাদেশ সরকারের কোন নিষেধাজ্ঞা নাই
- ইপিএস এর আওতায় কোরিয়া গমনের জন্য কোরিয় ইমিগ্রেশন কর্তৃক ভিসা / সিসিআইভি রিজেক্ট হয়নি
- পূর্বে দক্ষিন কোরিয়ার অবৈধ ভাবে বসবাস করে নি অথবা কোরিয়া থেকে জোর পূর্বক ফেরত পাঠানো হয় নি
- পূর্বে দক্ষিন কোরিয়ার অবস্থান কালে কোন প্রকার জেল জরিমানা বা শাস্তির মুখোমুখি হয়নি এমন ব্যক্তি
- ই ৯/১০ ভিসায় পূর্বে দক্ষিন কোরিয়ায় পাঁচ বছরের বেশি অবস্থান করেনি
- যাদের কালার উইকনেস বা কালার ব্লাইন্ডনেস সমস্য নাই এমন ব্যক্তি
- এবং অবশ্যই মেশিন রিডেবল বাংলাদেশী পাসপোর্ট ধারী হতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়াঃ
ইপিএস সিস্টেমে এবছর থেকে নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে যাতে রিক্রুটমেন্ট পয়েন্ট সিস্টেম ভিত্তিক পরীক্ষা এবং ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এই প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ হলো শধুমাত্র কোরিয়ান ভাষায় দক্ষতা নয় শারীরিক যোগ্যতা প্রযুক্তিক দক্ষতা, কর্মদক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ইত্যাদি সামগ্রিকভাবে মূল্যায়ন করার রিক্রুটিং সিস্টেম। রিক্রুটমেন্ট পয়েন্ট সিস্টেমে প্রথম রাউন্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থী থেকে দ্বিতীয় রাউন্ড পরীক্ষা (স্কীল টেস্ট, কম্পিটেন্সি টেস্ট) নিয়ে, প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ড পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে উচ্চ নাম্বারের ভিত্তিতে সম্ভাব্য নির্বাচিতব্য প্রার্থীর পরিমান লোককে বাছাই করা হবে।
ইপিএস এবং বোয়েসেল (BOESL) তাদের ওয়েব সাইট www.boesl.gov.bd এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় দক্ষিন কোরিয়া চাকরির অনলাইন রেজিস্ট্রেশন নামে কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এর রেজিস্ট্রেশনের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। উক্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর নির্দিষ্ট দিনে প্রার্থীগণ অনলাইনে বোয়েসেল (www.boesl.gov.bd) বা ইপিএস (eps.boesl.org.bd) এর ওয়েব সাইটে গিয়ে নিজের পাসপোর্ট নাম্বার এবং অন্যান্য তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। আবেদন করার জন্য আপনাকে কোন টাকা খরচ করতে হবে না। চাইলে নিজের বা যে কারও কম্পিউটারে বসে নিজের রেজিস্ট্রেশন নিজেই করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন শেষে আপনাকে কনফার্মেশন ফর্ম দেবে যেটা প্রিন্ট করে রেখে দেবেন।