দেশের সব আইসিইউ–সিসিইউর তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট, prabartan | প্রকাশিত: ২০:৫৭, ০৭- ০৩-১৯

দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতে কতগুলো ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) এবং করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) আছে, তার একটি তালিকা দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ–সংক্রান্ত এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।

একই সঙ্গে আদালত একটি আইসিইউ ও সিসিইউ ইউনিট স্থাপনে কত টাকা খরচ হয়, কী পরিমাণ লোকবল ও বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন, সে বিষয়েও প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) হলফনামা আকারে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে আদালত ‘দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২’ অনুযায়ী নীতিমালা প্রণয়নে আদালতের আদেশ কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে, তার অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে অনুসারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত ৪ মার্চ অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বশির আহমেদ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালতের নির্দেশে গত ২৪ জানুয়ারি ‘দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২’ অনুযায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর পরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক মালিক সমিতির মহাসচিব। এই কমিটি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার জন্য খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। সেটি আদালতে দাখিল করা হয়েছে।

হিউম্যান রাইটস লইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ মো. শাহ আলম গত জুলাই মাসে এ রিট দায়ের করেন। রিটের পর ২৪ জুলাই হাইকোর্ট বেসরকারি ক্লিনিক/হাসপাতাল ল্যাবরেটরি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মূল্যতালিকা এবং ফি পাবলিক প্লেসে ১৫ দিনের মধ্যে আইন অনুসারে প্রদর্শনের নির্দেশ দেন। ওই দিন আদেশে বলা হয়, দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ অনুসারে নীতিমালা তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য ৬০ দিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে হবে। এ ছাড়া রুলে চলমান হাসপাতাল এবং ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স অনুমোদন, তাদের সেবার বিষয় তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ অনুসারে নীতিমালা তৈরির কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সব জেলা সদরের হাসপাতালে আইসিইউ/সিসিইউ স্থাপনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top