ডেস্ক রিপোর্ট, prabartan | প্রকাশিত: ১৭:২০, ০৪-০৩-১৯
কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ জনের মতো ভারতীয় সেনা। ভারত মনে করছে, হামলার পেছনে ইন্ধন রয়েছে পাকিস্তানের। ফলে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে পাকিস্তানবিরোধী প্রতিবাদ। অস্থির হয়ে উঠেছে দেশ দুটির রাজনৈতিক অঙ্গন। সেই রাজনৈতিক অস্থিরতার আঁচ লেগেছে দুই দেশের ক্রিকেটাঙ্গনেও। আসন্ন বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করার কথা ভাবছে ভারত। এই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ইত্যাদি ক্রিকেট সংস্থা নিজেদের মাঠ থেকে কিংবদন্তি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ছবি সরিয়ে ফেলেছে। পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ছবি সাজানো আছে কলকাতার ইডেন গার্ডেনও।
ইডেন থেকে সাবেক বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তানি অধিনায়ক ইমরান খানের ছবি যেন সরানো হয়, এ জন্য দাবি তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি। কয়েক দিন ধরেই এই দাবি জানিয়ে আসছে তারা। এরপর ইমরানের ছবি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই ছবি নামানোর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সিএবিপ্রধান সৌরভ গাঙ্গুলী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ইমরানের ছবি নামানোর কোনো ইচ্ছাই নেই তাঁর। ফলে সৌরভের ওপর বেজায় খেপেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি। চলছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ।
সৌরভ অবশ্য রাজনৈতিক চাপের মুখেও অবিচল। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ছবি সরবে না। এর চেয়ে বড় আন্দোলন হলেও সৌরভ ইমরানের ছবি সরাবেন না বলেই জানিয়েছেন। তবে ইমরানের ছবি নামাতে না চাইলেও আসন্ন বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেলার পক্ষে ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক। কেবল ক্রিকেটই নয়, সৌরভ কিছুদিন আগে বলেছিলেন, ভারতের উচিত পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো খেলাতেই মাঠে না নামা।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি জানিয়েছে, সৌরভ তাদের কথা না মানা পর্যন্ত প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে তারা। বিজেপি মনে করছে, সৌরভের এই কঠোর অবস্থানের পেছনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে। ফলে, এই লড়াইকে আকারে-ইঙ্গিতে ‘বিজেপি বনাম তৃণমূল’ বিরোধের একটা অধ্যায় হিসেবেও ভাবছে তারা। চার বছর আগে মমতার সমর্থন নিয়েই সিএবিপ্রধান হয়েছিলেন সৌরভ।
ইডেনের ক্লাব হাউসে ইমরান খান ছাড়াও সাবেক দুই পাকিস্তানি অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম, রমিজ রাজার ছবি সাজানো আছে। কিন্তু তাঁদের ছবি নামানোর ব্যাপারে বিজেপি অবশ্য কোনো দাবি তোলেনি।