ডেস্ক রিপোর্ট : বিজ্ঞান শিক্ষাকে বেগবান করার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলার ১৭ উপজেলায় রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং ক্লাব গঠন করা হয়েছে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির জন্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে ‘কালেক্টরেট ফ্যাবল্যাব’। এ ল্যাবে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
নগরীর নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং আমাদের কাছে অজানা ছিল। আমরা শুধু শুনতাম। এখন প্রশিক্ষণ নিয়ে রোবট বানাচ্ছি আমরা। কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার বলেন, করোনাকালে একদল শিক্ষার্থী বিজ্ঞানের খুঁটিনাটি বিষয় আয়ত্ত করছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবু জাফর খান বলেন, রোবট চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে ভূমিকা রাখবে। রোবটের মাধ্যমে প্রতিদিনকার কাজ হবে। শিক্ষার্থীদের রোবট তৈরির পথ দেখাচ্ছে ফ্যাবল্যাব।
আরও পড়ুন : ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা জমা দিলে জামিন পাবেন শামসুল
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা আশরাফী জানান, ছাত্রছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লক চেইন, আইওটি, ন্যানো টেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি, রোবটিক্স, বেসিক প্রোগ্রামিং, অরডু্যইনো প্রোগ্রামিং, ফান উইথ প্রোগ্রামিং, ইলেক্টনিক্সসহ নানা বিষয়ে উপযোগী ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে সর্বস্তরে কারিগরি ও তথ্যপ্রযুক্তিগত শিক্ষাকার্যক্রম প্রসারের প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ব্যাবহারিক ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে ‘কালেক্টরেট ফ্যাবল্যাব’।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, কুমিল্লা জেলা প্রশাসন বিশ্বাস করে— আজকের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আগামীতে সফটওয়্যার, রোবটিক্স, ইথিক্যাল হ্যাকিং, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইমেজ প্রসেসিং, ওয়েব ডেভেলপিংসহ বিভিন্ন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে। পড়াশোনার পাশাপাশি যদি শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং শেখানো হয়, তাহলে অল্প বয়স থেকেই তারা সি প্রোগ্রামিং, সি প্লাস, সি প্লাস প্লাস, পাইথন, জাভাস্ক্রিপ্টসহ সব ধরনের প্রোগ্রামের ব্যবহার শিখতে পারবে এবং প্রোগ্রামিংয়ের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তারা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগ গ্রহণ করে বিশ্বে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে।