ডুমুরিয়া প্রতিনিধি, prabartan | প্রকাশিত: ২১:০৬, ২৩-০২-১৯
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার রীতিনীতি সেই ১৯৫২ সাল থেকে চলে আসছে। এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, এখন আন্তর্জাতিকভাবে সারাবিশ্বে দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে। মহান এই দিনে যারা মানুষ গড়ার কারিগর তারাই রীতিমত জাতীর সাথে ও শহীদদের প্রতি চরম অবমাননা করে শিক্ষার্থীদেরকে বিস্মিত করেছে। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খড়িয়া মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শোক র্যালীতে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে সর্বমহলে এখন তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খড়িয়া মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি গণেশ বৈরাগীর নেতৃত্বে বিদ্যালয় শিক্ষকরা অমর একুশের প্রভাত ফেরীতে কমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে মির্জাপুর টু সাজিয়াড়া সড়কে শোক র্যালী বের করে। র্যালীতে ক্ষুদে সকল শিক্ষার্থীরা খালি পায়ে থাকলেও শিক্ষকের পায়ে ছিলো জুতা।
বিষয়টি জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুন্নাহারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। তবে সহকারী শিক্ষক সীমা বিশ্বাস বলেন, জুতা পায় দিয়ে শোক র্যালী করা ভুল হয়েছে। এ ধরণের ঘটনা আর হবে না। আপনারা পত্রপত্রিকায় লিখলে আমাদের ক্ষতি হবে। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি গনেশ বৈরাগী বলেন, আমি বাজারে যাচ্ছিলাম। এ সময় শোক র্যালি সামনে পড়ায় জুতা পায়ে আমি যোগ দেই। এ বিষয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার জিএম আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। শ্রদ্ধা নিবেদনের পদ্ধতি দেশের নিয়মানুযায়ী অবশ্যই হওয়া উচিত। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহনাজ বেগম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তদন্ত করে প্রমানিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।