চুকনগর প্রতিনিধি, Prabartan | আপডেট: ১৯:২৬, ২০ -০২-১৯
খুলনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও হয়রানীর অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন এক শিক্ষক।
বুধবার বিকাল ৫টায় খুলনার চুকনগর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চুকনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আজিজুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৭ ফেব্রুযারী তারিখে আমি আমার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে খুলনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যাই পাসপোর্ট নবায়নের জন্যে। সেদিন আমাকে পাসপোর্ট অফিস থেকে কিছু দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। সেই মোতাবেক ১৯ ফেব্রুযারী নির্ভূলভাবে অনলাইনে আবেদন ফরম পুরণ করে পাসপোর্ট অফিসে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে কর্তব্যরত কর্মকর্তার নিকট তার নিজের সহ পরিবারের ৪টি ফরম জমা দিলে তিনি সুনির্দিষ্ট কারন দর্শানো ছাড়াই ফরমগুলো ফেরৎ দেন।
শিক্ষক মোঃ আজিজুর রহমানের প্রবর্তনকে দেওয়া অভিযোগ শুনুন
এসময় আমি পরিচালকের কাছে গিয়ে ঘটনা খুলে বললে তিনি আমাকে উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলামের কাছে পাঠান। তার কাছে গেলে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে কাগজপত্র ছুড়ে ফেলে দেন। তখন আবারও পরিচালকের কক্ষে যাই, তখন তিনি তার ব্যক্তিগত সহকারীকে দিয়ে আমাকে পুনরায় উপ-পরিচালকের কাছে পাঠান। এ সময় উপ-পরিচালক আরও উত্তেজিত হয়ে আমি ও আমার স্ত্রীর সাথে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরবর্তীতে আবারও পরিচালকের কাছে গেলে এবার তিনিও নানা অজুহাতে আমাকে বের করে দেন। এরপর আমি নিরুপায় হয়ে দূর্নীতি দমন কমিশনের হেল্পলাইনের ১০৬ নাম্বারে কল করে আমার অভিযোগের কথা জানালে ২টার পরে আমার আবেদন জমা নেয়া হয়। অথচ আমার সামনেই অনেক ভুল থাকার পরও বহু আবেদন ফরম জমা নেয়া হয়েছে। আবার কোন ভুল না থাকা অথবা সামান্য ভুল থাকার কারনে আমিসহ অনেকের ফরম ফেরৎ দেয়া হয়েছে। এভাবে প্রতিদিন খুলনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে শত শত সাধারণ মানুষ হয়রানীর শিকার হচ্ছে। আর যারা দালালের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ফরম জমা দিচ্ছে তাদেরটা কোন কিছু না দেখেই জমা নেয়া হচ্ছে। তাই আর যাতে কোন ব্যক্তিকে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে হয়রানীর শিকার হতে না হয় এ জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।