ডুমুরিয়া প্রতিনিধ, prabartan | প্রকাশিত : ২২:২৭, ১৭-০২-১৯
খুলনার ডুমুরিয়ায় মিঠা পানির অভাবে মরে গেছে পঞ্চু বিলের ১৫ বিঘা জমির বোরো ধান। শৈলমারী স্লুইজ গেটের নষ্ট কপাট ভেদ করে লবন পানি গুবদিয়া নদীতে প্রবেশ করার কারণে এসব ধান মারা যাচ্ছে। পাউবো কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাজে শম্ভু গতির কারণে ১৫ দিনেও মেরামত হয়নি গেটের কপাট। ফলে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে শতশত কৃষক।
জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে গুবদিয়া নদীর পানি দিয়ে টিয়াবুনিয়া, জিলেরডাঙ্গা, পঞ্চু, ভেল্কামারী, জালেরডাঙ্গা, বড়ডাঙ্গা, গুটুদিয়া, পাটকেলপোতা, বগারখোর, কালিদাশপুর, পাশখালী, বিলপাবলা, খড়িয়া আশপাশ এলাকার বিলে প্রায় ৩০০ একর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ হয়েছে। অধিকাংশ কৃষক নদীর পানি দিয়ে চাষাবাদ করে। সম্প্রতি শৈলমারী ¯øুইজ গেটের নষ্ট কপাট ভেদ করে গুবদিয়া নদীতে লবন পানি প্রবেশ করার কারণে কৃষকরা নদীর পানি জমিতে আর তুলতে পারছেন না। যার কারণে ক্ষেত শুকিয়ে চৌচির হয়ে মারা যাচ্ছে বোরো ধান।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহনাজ বেগম একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নক করলেও দায়িত্বশীল পদের ওইসব কর্মকর্তাদের কাজে শম্ভু গতির কারণে দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মেরামত হয়নি গেটের কপাট। আর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মাঠে পড়ে থাকা কৃষকের। পঞ্চু বিলে মিঠা পানির অভাবে ঠাকুর গোলদার, প্রদীপ মন্ডল, অসোক মন্ডল, সুজিত, অসিম মন্ডল, সুভাষ মন্ডলসহ ১০জন কৃষকের প্রায় ১৫ বিঘা জমির বোরো ধান মারা গেছে। গত মৌসুমে এই জমিতে একর প্রতি ৬০মন হিসেবে ফসল হয়েছিলো তাদের। কৃষক অসিম মন্ডল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত বছর ফলন ভালো হওয়ায় এবার ধানের চারা অধিক দামে কিনে রোপন করেছি। কিন্তু ¯øুইজ গেট দিয়ে লবন পানির আসার কারণে আমাদের লাগানো ধান সব মারা গেছে। বোরিং করারও সময় হয়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, গত ২ সপ্তাহে তিন বার শুধু গেট পরিদর্শন করেছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে দ্রুত মেরামত হবে। কিন্তু আজো কপাট মেরামত হয়নি। লবন পানির কারণে কৃষকের বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে গেলো।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার তুষার কান্তি বিশ্বাস বলেন, সকালে পঞ্চু বিলের ক্ষতিগ্রস্ত বোরো ক্ষেত পরিদর্শন করেছি। কৃষকরা বলেছে নদীতে লবন পানির কারণে তারা সময়মত ক্ষেতে পানি দিতে পারেনি। ফলে ধানের চারা মারা গেছে। আর শৈলমারী ইজ গেটদিয়ে এখনো বেপোরোয়াভাবে পানি ঢুকছে। এটা বন্ধ করা না গেলে এ অঞ্চলের কৃষকের বড় ধরণের ক্ষতি হবে।
এবিষয়ে জানার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে একাধিকবার ফোন করা হয়েছে। তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ম্যাকানিক্যাল বিভাগের প্রকৌশলী এসবি হেলাল খান বলেন, কপাটের সামগ্রীর জন্য ঢাকায় চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এলেই কাজ শুরু করা হবে।