ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | আপডেট: ১৭:২৮, ১৫-০২-১৯
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের প্রয়োজনীয় অর্থ জোগানে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহষ্পতিবার এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশজুড়ে ফের অচলাবস্থা সৃষ্টি ঠেকাতে তিনি সীমান্ত নিরাপত্তা বিলে স্বাক্ষর করবেন। এছাড়া কংগ্রেসকে এড়িয়ে যেতে নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগে সামরিক তহবিল ব্যবহারের সিদ্ধান্তও নিতে পারেন তিনি। – খবর বিবিসি’র
ডেমোক্রেট শীর্ষ নেতারা অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প তার ক্ষমতার ‘অপব্যবহার’ ও ‘আইন বহির্ভূত’ কাজ করছেন। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল অর্থাৎ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিলো। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের প্রয়োজনীয় অর্থ তহবিলের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হননি।
বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসে সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ১৩০ কোটি ডলার অর্থ বরাদ্দ দেয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডেমোক্রেটরা, যা ট্রাম্পের দাবিকৃত অর্থের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২১৫ মাইল এলাকাজুড়ে কংক্রিটের দেয়াল নির্মাণের কথা থাকলেও বরাদ্দকৃত এ অর্থ দিয়ে মাত্র ৫৫ মাইল জায়গায় ধাতব পাত দিয়ে বেড়া নির্মাণ করা যাবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুরু থেকেই সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য ৫৭০ কোটি ডলার বরাদ্দ চেয়ে আসছেন। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে পাস হওয়া বিলটিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্বাক্ষর করলেই তা আইনে পরিণত হবে।
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের সিদ্ধান্তে এখনও অনড় অবস্থানে রয়েছেন ট্রাম্প। ১১ ফেব্রুয়ারি টেক্সাসে এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেছেন, যেভাবেই হোক, দেয়ালটি নির্মিত হবেই।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আবারো মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ, সীমান্ত রক্ষা এবং আমাদের দেশকে সুরক্ষিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা এবং মানবিক সংকট নিরসন নিশ্চিত করতে তিনি জরুরি অবস্থা জারিসহ বেশ কিছু নির্বাহী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।
মার্কিন সরকারের ফেডারেল এজেন্সিগুলো চালিয়ে নেয়ার জন্য শুক্রবারের মধ্যেই এই বিলে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর প্রয়োজন। গত মাসে হওয়া তিন সপ্তাহের চুক্তির সময়সীমা শুক্রবারই শেষ হয়ে যাবে। এর আগে একটানা ৩৫ দিন অচলাবস্থা কাটাতে হয়েছে ট্রাম্প সরকারকে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি ছিল সর্বোচ্চ অচলাবস্থা।