এম সাইফুল ইসলাম, Prabartan | প্রকাশিত: ২২;৩০, ১৪-০২-১৯
খুলনা: ভালবাসা দিবস খুলনা মহানগরে বিকাল থেকে মাঝ রাত পর্যন্ত রয়েছে তীব্র যানযট। বিশেষ দিনটিতে প্রিয় মানুষকে নিয়ে ঘুরতে এসে বিপাকে পড়েছেন অনেকে। আক্ষেপ নিয়ে বলছেন, দর্শনীয় স্থানগুলোতে পরিকল্পিত গাড়ী পার্কিং ব্যাবস্থা না থাকায় এবং গুরুত্বর্পূন সড়কগুলোতে ওয়াসার সংস্করনরে কাজ চলমান থাকায় যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল থেকে মাঝ রাত পর্যন্ত খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে তীব্র যানযট লক্ষ্য করা গেছে।
যত্রতত্র পার্কিং ও ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ি নগরীকে দূর্বিসহ করে তুলেছে। সরেজমিন দেখা যায়, নগরীর সাতরাস্তা থেকে ফেরিঘাট তীব্র যানজট। এখানে ঘন্টার পরে ঘন্টা আটকে আছে ইজিবাইক, মাহেন্দ্রা পরিবহন সহ একাধিক গাড়ি। গল্লাামারিতে একই অবস্থা। ময়ূর ব্রিজ থেকে গল্লামারী মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট। এছাড়া রূপসা ব্রীজ, ফুলমার্কেট, শান্তিধামমোড় , রয়েলের মোড়, শীববাড়ির মোড় সহ অধিকাংশ স্পট ছিল তীব্র যানজট।
নগরীর ব্যাস্ততম অধিকাংশ সড়কে চলছে ওয়াসার সড়ক সংস্করনের কাজ । সংস্করন কাজের সুবিদার্থে আটকে রাখা হয়েছে অনেক সড়ক। ফলে দূর্ভোগ এর মাত্রা বেড়ে কয়েকগুনে দাড়িয়েছিল সন্ধার পরে।
ফুলমার্কেটে জ্যামে আটকে পড়া সাইফুজ্জামান জিয়ন প্রর্বতনকে বলেন, সারাদিন ব্যাস্ততার কারনে বের হতে পারিনি। সন্ধার পরে বের হয়েই ভোগান্তির শিকার ।
সুফিয়া সাথি প্রর্বতনকে বলেন, এমন হবে বুজলে আমি সন্ধায় বেরই হতাম না। অথবা খুলনার বাইরে যাইতাম (যেতাম)।
শ্রমিক নেতা মশিউর রহমান মিলন প্রর্বতনকে বলেন, আজ ভালবাসা দিবস উপলক্ষে যানজট ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে এখানে শুধু ইজিবাইক ই দায়ী নয়। যানজটের জন্য অন্যতম দায়ী ওয়াসার সড়ক সংস্করন।
কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (আরসিডি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু প্রর্বতনকে বলেন, ভালবাসা দিবস উপলক্ষ্যে লোক সমাগম বেশি থাকায় যানজট ছিল। আমরা কেএমপির পক্ষ খেকে এ জন্য চেক পোষ্ট, নিরাপত্তা সহ নানা উদ্যোগ নিয়েছিলাম।
তিনি আরো বলেন শহরের ফুটপাত দখলের কারনে যে স্বাভাবিক যানজট লেগেই থাকতো তা কিন্তু এখন নেই। খুলনাবাসী নিয়মিত যানজট থেকে মুক্তি পেয়েছে।
এমএসআই/এএস