ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | প্রকাশিত: ৪:৪১ পিএম, ৫-২-১৯
ময়ূরকে পৃথিবীর অন্যতম সৌন্দর্যময় প্রাণী হিসেবে ধারনা করা হয়। ময়ূর এবং তার ভুবন ভোলানো পেখম তোলা নাচ ভাবুক ও কবিদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। তবে জানেন কি, জন্মের পর থেকে তিন বছর বয়স পর্যন্ত একটি ময়ূর কিংবা ময়ূরীর পেখম থাকে না, তাই তাদের সৌন্দর্যও থাকে না তেমন। ময়ূরের সৌন্দর্য পরিস্ফুটিত হওয়া শুরু করে এর তিন বছর বয়স থেকে। এই অনিন্দ্য সুন্দর পাখিদের সম্পর্কে আরো কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন-
১। প্রতি বছর প্রজনন মৌসুমের পর ময়ূর তার পালক খসিয়ে দেয়। তখন ময়ূরদের হত্যা করা বা কোনো ক্ষতি করা ছাড়াই পালক সংগ্রহ করে সেগুলো বাজারে বিক্রি করা যায় । এভাবে একটি ময়ূরের পালক ২০ বছর যাবত সংগ্রহ করা যায়, কারণ বন্য ময়ূরের আয়ু প্রায় ২০ বছর হয়ে থাকে। তবে ময়ূরদের পোষ মানাতে পারলে আয়ু ৫০ বছর পর্যন্তও হতে পারে।
আরো পড়ুন>>: মোংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেলে লবণ বোঝাই ট্রলার ডুবি
২। ময়ূর কিন্তু উড়তে পারে! এর লেজের পালকের দৈর্ঘ্য হয় ছয় ফুট; যা এদের দেহের মোট দৈর্ঘ্যের ৬০ শতাংশ। এসব কারণে অনেকেই মনে করেন এরা বুঝি উড়তে অক্ষম। কিন্তু দূরত্ব বেশি না হলে এরা সহজেই উড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে। এদের পাখার দৈর্ঘ্য হলো প্রায় ৫ ফুট, যা এদের পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ উড়নক্ষম পাখির মর্যাদা দিয়েছে।
৩। সারা পৃথিবীতে ময়ূরের মাত্র তিনটি প্রজাতি রয়েছে। এদের মধ্যে দুইটিই হলো এশিয়ান- ইন্ডিয়ান পিকক এবং গ্রীন পিকক। অন্যটি হলো আফ্রিকান- কঙ্গো পিকক। ইন্ডিয়ান পিকক বাংলাদেশে একেবারেই বিলুপ্ত বলা যায় কিন্তু ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় এখনো প্রচুর পরিমাণে এদের দেখতে পাওয়া যায়।
৪। ময়ূরদের রঙিন পালক থাকে মূলত প্রজনন মৌসুমে যৌন সঙ্গমে ময়ূরীদের আকর্ষণের জন্য। এদের পালকগুলো ছোট ছোট কেলাসে আবৃত থাকে, যা পালকগুলোকে চকচকে করে তোলে।
৫। একটি ময়ূর একসঙ্গে সর্বোচ্চ ছয়টি ডিম পাড়তে পারে, যদিও কখনো সখনো এর থেকে বেশি ডিম পারতেও দেখা যায়। এদের ডিম পারার সময়টা মূলত অপরাহ্ন।
৬। ময়ূরদের খাদ্য তালিকাও কিন্তু বেশ লম্বা। এরা বিভিন্ন ঘাস, লতাপাতা যেমন খায়; তেমনি পোকা মাকড়, বিভিন্ন সরীসৃপ ও উভচর প্রাণীও রয়েছে এদের খাবারের তালিকায়।
বাংলাদেস সময়: ১৬৪১, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
এএস