বিজ্ঞপ্তি: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ২১২তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের নকশা অনুমোদনসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া দুইজন গবেষককে পিএইচডি ডিগ্রির প্রাপ্তির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। পিএইচডি ডিগ্রি প্রাপ্তরা হলেন ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মোঃ নাছিম রানা এবং তানিয়া ইসলাম।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় নতুন সদস্য প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ ওয়াহিদা আক্তার, প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম, প্রফেসর এ কে ফজলুল হক, প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল জব্বার, ড. নিহার রঞ্জন সিংহকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়া সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন, প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাটাগরির অন্যান্য সকল সদস্য সভায় উপস্থিত ছিলেন। সিন্ডিকেটের অপর দুই সদস্য খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বর্তমানে ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন এনডিসি অনলাইনে যুক্ত থেকে এ সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটক স্থাপনের নকশাও গৃহীত হয়।
সিন্ডিকেট সদস্যদের অনেকেই গত দশ বছরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধমে বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এবং উপাচার্য হিসেবে তাঁর ধৈর্য্য, নিষ্ঠা, আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করায় জন্য তাঁকে অন্তরিক শুভেচ্ছা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন সিন্ডিকেট সদস্য ইউজিসির সদস্য ও কুয়েটের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, প্রফেসর মুনতাসীর মামুন, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন এনডিসি, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ ওয়াহিদা আক্তার, প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহান, প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন, প্রফেসর ড. ওয়ালিউল হাসানাত, প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল জব্বার এবং সিন্ডিকেটের সচিব প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য হিসেবে দশবছর দুই মাস দায়িত্ব পালনে সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন এই দীর্ঘ সময়ে কাজ করতে যেয়ে তিনি সব সময়েই সবার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চেষ্টা করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি কোয়ালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে নিরন্তর চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন কাজ করতে যেয়ে তিনি কারও প্রতি ব্যক্তিগতভাবে বিরাগভাজন বা ব্যক্তিগত ঈর্শ্বাপরায়ণ হয়ে কোনো পদক্ষেপ নেন নি। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে, প্রতিষ্ঠানের নিয়মকানুন সমুন্নত রাখতে বেশ কিছু বিষয় সামনে চলে আসে। অপ্রিয় হলেও প্রচলিত বিধিবিধানের কারণে সে বিষয়ে নিস্পত্তি করতে যেয়ে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসবই বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে। তবে তিনি বলেন মানুষ হিসেবে আমরা ভুল করতেই পারি। কিন্ত সেই ভুলের জন্য দুঃখবোধ বা অনুশোচনা থাকাটা জরুরি। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবনে সামনে এগোতে হয় এটাই জীবনের বাস্তবতা।
সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী মুজিব বর্ষ উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আর্কাইভ এর উদ্বোধন করেন। এসময় উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার এবং সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।