ডেস্ক রিপোর্ট, আপডেট: ১২:২৪ এএম, ২১-০১-২০১৯
খুলনা মহানগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজার এলাকার মাসুদ গাজী (৪০) হত্যা মামলার ৭ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত মাসুদ গাজী মিস্ত্রিপাড়া বাজার মসজিদের খাদেম হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
হত্যা কান্ডের ১২ ঘণ্টার মধ্যে এজাহার নামীয় ৮ জন আসামীর মধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)।এর আগে শনিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে স্থানীয় বখাটেরা দু’ দফায় মাসুদ গাজী ওপর হামলা করলে তিনি গুরুতর জখম হন। রাত দেড়টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে রোববার (২০ জানুয়ারি) নিহত মাসুদ গাজীর ভাই ইয়াসিন গাজী বাদী হয়ে মামলা করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন- ১) মোঃ সাগর হোসেন(২১),পিতা মোঃ সগির হোসেন, নাজিরঘাট, সোনাডাঙ্গা, ২) মোঃ আতিয়ার রহমান আতি(২২), পিতা- জি এম মাহাতাব হোসেন, কৃষ্ণনগর, লবনচরা, ৩) মোঃ নাসির উদ্দিন(২২), পিতা- মৃত সোবহান, পশ্চিম টুটপাড়া, ৪) মোঃ কাওছার শেখ(২৪), পিতা- মোঃ আবুল কালাম শেখ, মিস্ত্রি পাড়া বাজার, ৫) মোঃ সোহাগ আকন(২০), পিতা- মোঃ শাহ আলম আকন, মিস্ত্রি পাড়া, ৬) মোঃ ইমামুল শেখ ইমাম(১৭), পিতা- মোঃ খলিল শেখ, মিস্ত্রিপাড়া, ৭) মোঃ নাজমুল তালুকদার(২২), পিতা- মোঃ নান্না তালুকদার, বাগমারা, খুলনা। আসামীরা খুলনা সদর থানায় রয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি সাউথ মো. এহসান শাহ রোববার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় বলেন, হত্যাকান্ডের পরে নিহত মাসুদ গাজীর ভাই ইয়াসিন গাজী বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার এজাহার নামীয় ৮ জন আসামীর মধ্যে ৭জনকে ঘটনার ১০ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের তড়িৎ তৎপরতায় এত দ্রুত আসামী গ্রেফতার হওয়ায় নিহতের স্বজনরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
নিহত মাসুদ গাজী মসজিদের খাদেমের সঙ্গে রং মিস্ত্রি ও বিদ্যুতের কাজও করতেন। তিনি মহানগরীর পূর্ব বানিয়া খামার লোহারগেট নবম গলির বাসিন্দা মুনসুর রহমান গাজীর ছেলে। রোববার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে খুমেক হাসপাতালের মর্গ থেকে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খাদেম মাসুদ গাজী শনিবার রাতে এশার নামাজ আদায় করে মিস্ত্রিপাড়া বাজার মসজিদ থেকে বের হয়ে দধি কিনে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সড়কের পাশে বসে থাকা আসামীদের সঙ্গে কোন একটি বিষয় নিয়ে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বখাটেরা তাকে মারধর করে। তিনি আহত হয়ে বাসায় ফিরে যান। বাসায় গিয়ে ঘটনা বলার পর ভাই ইয়াসিন গাজীকে সঙ্গে নিয়ে পুণরায় ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় বখাটেরা স্থানীয় স্কুল গলির মুখে নিয়ে তার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে এবং মুখ ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। তার ভাই ইয়াসিন গাজী ঠেকাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। এক পর্যায় মাসুদ গাজী অচেতন হয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৪, ২১ জানুয়ারী, ২০১৯
এএস/ডেস্ক