ডেস্ক রিপোর্ট : সম্প্রতি একটি গবেষণা বলছে, ওজন বেশি থাকলে দাঁতের মাড়ির সমস্যা দেখা দিতে পারে। গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে ডেন্টাল রিসার্চ জার্নালে। গবেষণাপত্রের নাম ‘নোভেল প্রিঅস্টিওক্লাস্ট পপুলেশন ইন ওবেসিটি অ্যাসোসিয়েটেড পেরিওডেন্টাল ডিজিজ’। এক্ষেত্রে মাইলেয়ড ডেরাইভড সাপ্রেসর সেলের (এমডিএসসি) কারণে এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
অতিরিক্ত ওজন শারীরিক নানা সমস্যার কারণ হতে পারে। এজন্যই বিশেষজ্ঞরা বলেন, সুস্থ থাকতে চাইলে আগে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ওজন। করোনার শুরু থেকেই চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে আসছেন, সবাই যেন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখেন। না হলে করোনার পাশাপাশি অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়বে।
ওজন কমানোর জন্য কিন্তু ধৈর্য আর অধ্যাবসায় এই দুই লাগে। সেই সঙ্গে নিয়মিত একটি রুটিনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। একদিনের প্রচেষ্টায় কখনও ওজন কমে না। নিয়ম মেনে যেমন খাওয়া দাওয়া করবেন তেমনই কিন্তু ব্যায়াম-শরীরচর্চাও প্রয়োজন। সব কিছু একসঙ্গে হলে তবেই কিন্তু কমবে ওজন। নতুন বছরে বেশিরভাগেরই পরিকল্পনা থাকে যে কোনও উপায়ে বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলতে হবে। আর ওজন কমানোর কথা বললেই সকলের মাথায় প্রথম আসে ডায়েট।
আরও পড়ুন : নবজাতকের কপাল কেটে ফেলার ঘটনায় মামলা, তদন্তে কমিটি
ডায়েট মানেই বেশিরভাগের ধারণা সারাদিন শুধুমাত্র ওটস, আপেল, দই এসবের ভরসায় থাকতে হবে এই ধারণা একদমই ঠিক নয়। ডায়েটের অর্থ কিন্তু নিয়ম মেনে সঠিক খাবার খাওয়া। আর সঠিক সময়ে সঠিক খাবার খেলে তবেই কিন্তু ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ করবেন কীভাবে?মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।প্রতিবেলায় অল্প করে খাবার খান। প্রয়োজনে একাধিকবার খান, তবে একসঙ্গে অতিরিক্ত খাবেন না।তেল জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।লাল মাংস যতটা সম্ভব এড়িয়ে যান।বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করুন।খাদ্যতালিকায় ফাইবারজাতীয় খাবার রাখুন।দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করেতই হবে। তবেই ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
মুখের স্বাস্থ্য ভাল রাখবেন যেভাবে-
দিনে অন্তত দুইবার ব্রাশ করুন। সকালের আর রাতে খাবার খাওয়ার পর।দাঁত ব্রাশ করার সময় উপর আর নীচে সমানভাবে মাজুন।খাওয়ার পরপরই ব্রাশ করবেন না। অন্তত আধ ঘণ্টা পর করুন।বেশি চিনি জাতীয় খাবার খেলে এমনিতেই দাঁতের সমস্যা বাড়ে। তাই সেগুলো কম খান।দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার বেশি করে খান। এই খাবারে আছে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম। যা দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভাল রাখে।দাঁতের যে কোনো সমস্যা দেখলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।