নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রবর্তন। প্রকাশিতঃ ১৭:৪৯, ০৬ জানুয়ারি ২০২০
নদীতে ফেলে ঢাকার চকবাজার এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান বাহারকে হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার ব্রাহ্মবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সফিউল আজম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- মো. নুরু মিয়া, মো. জিয়াউল হক, লোকমান খান ও মো. কাদির হোসেন। এর মধ্যে জিয়াউল ছাড়া বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
নিহত হান্নান নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার অম্বরনগর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
পিপি এসএম ইউসুফ জানান, ঢাকার চকবাজারে কসমেটিকসের ব্যবসা করতেন বাহার। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা তার দোকান থেকে মালামাল কিনতেন। প্রতি বছর ঈদ শেষে পাইকারদের কাছ থেকে বকেয়া টাকা আদায় করে ঢাকায় ফিরতেন তিনি।
২০১৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা এলাকায় পাইকার লোকমান খানের কাছে বকেয়া আদায় করতে যান বাহার। এ সময় তার পাওনা টাকা পরিশোধ করবেন বলে বাঙ্গরা বাজারে ডেকে নেন লোকমান।
বাঙ্গরা বাজারে যাওয়ার পর লোকমান তার শ্বশুরবাড়িতে বেড়ানোর নাম করে বাহারকে ইঞ্জিন নৌকায় তুলে নিয়ে যান। নৌকায় আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য বাহারের স্বজনদের কাছে টাকা দাবি করেন। টাকা না দেয়ায় ৪ আগস্ট থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত বাহারের হাত-পা বেঁধে নির্যাত করেন। কিছু টাকা আদায়েরর পর আরো টাকার জন্য হত্যার হুমকি দেয়া হয়। ৬ আগস্ট রাতে তারা বাহারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর লঞ্চ ঘাটের বিপরীতে তিতাস নদীতে ফেলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর ৮ আগস্ট বিকেলে নদী থেকে বাহারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৯ আগস্ট বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ছোট ভাই বেলাল হোসেন। হত্যার ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১০ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।