ডেস্ক রিপোর্ট : দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। অভিনয় দিয়ে তিনি বহু আগেই স্থায়ী আসন গেড়ে বসেছেন ভক্তদের মনে। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কাপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রীকে দেখা যাবে নতুন দায়িত্বে, নতুন ভূমিকায়। আগামী এক বছরের জন্য উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে তাকে। ১ জানুয়ারি থেকেই তার দায়িত্ব শুরু।
বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণের কারণে ইতোমধ্যেই বেশ প্রশংসিত জয়া আহসান। এবার ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে (এসডিজি) সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করবেন তিনি। নতুন এই দায়িত্ব পেয়ে ভীষণ আপ্লুত অভিনেত্রী।
অনুভূতি জানিয়ে জয়া বলেন, ‘ইউএনডিপির সঙ্গে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারব ভেবে নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী রক্ষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে তা অর্জন করতে হলে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। আমি আমার কাজের মধ্য দিয়ে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করব। আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশসহ বিশ্বকে যেন আরও সুন্দর, সহনশীল করে গড়ে তুলতে পারি।’
আরও পড়ুন :কোভিডে নতুন মৃত্যু নেই রাজশাহী মেডিকেলে
জয়াকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে পেয়ে খুশি ইউএনডিপির প্রতিনিধিরাও। আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘পৃথিবীকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে তোলা আমাদের সবার অঙ্গীকার। তা রক্ষা করতে হলে আমাদের প্রত্যেককেই যার যার দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবেই এসডিজি অর্জন করা সম্ভব হবে। জয়া আহসানের মতো একজন জনপ্রিয় শিল্পী এবং সমাজ উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মানুষ ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হওয়াতে আমরা সৌভাগ্যবান। তার মাধ্যমে আমাদের কথা এখন দেশ ও দেশের বাইরে মানুষকে আরও বেশি করে পৌঁছানো যাবে।’
ইউএনডিপির সঙ্গে এসডিজি ছাড়াও আরও অন্যান্য বিষয় যেমন, দারিদ্র, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন, সহনশীলতা, পরিবেশ, জ্বালানি এবং লিঙ্গ সমতা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেও কাজ করবেন জয়া। অভিনেত্রী এমন বড় দায়িত্ব পাওয়ায় খুশি তার ভক্ত এবং সহশিল্পীরাও। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়াকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন।