এস এস সাগর, চিতলমারী প্রতিনিধি, Prabartan | আপডেট: ২০:৫১, ০৮-০৪-১৯
বাগেরহাটের চিতলমারীতে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে প্রচন্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এখানে শুধু পানীয় জল নয়, পরিস্কার পানির অভাবে রান্নাসহ গৃহের সকল কাজকর্মে চরম ব্যাঘাত ঘটছে।
জানা গেছে, চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে প্রায় ১০০-১৫০ টি রেষ্টুরেন্ট ও খাবার হোটেল এবং ২ শতাধিক ছোট-বড় চায়ের দোকান রয়েছে। যার বেশিরভাগ হোটেল-রেষ্টুরেন্ট, টি ষ্টলে খাবার ও বিভিন্ন কাজে পুকুর বা টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করে থাকে। আর এই পানি সরবরাহ করে থাকে কয়েকজন ভ্যানওয়ালা। তারা প্রতি ড্রাম পানির জন্য ৭০-৯০ টাকা নিয়ে থাকেন। বর্তমানে বিশুদ্ধ পানির অভাব থাকায় অনেক দুর থেকে তা সংগ্রহ করার জন্য ১০০-১২০ টাকা নিচ্ছেন। অত্র উপজেলার অধিকাংশ মানুষ চিত্রা ও মধুমতি নদীর উপর নির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমানে চিত্রার পানি পঁচে নষ্ট ও পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় সুপেয় পানির অভাব আর প্রচন্ড দাবদাহে সাধারন মানুষ হাঁসফাঁস করছে।
চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পরিতোষ চক্রবর্তী প্রবর্তনকে জানান, এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য চরবানিয়ারী ও চিতলমারী ইউনিয়নে হাই-সাওয়া নামে দুটি পাম্প রয়েছে। তবে পাম্প ২ টি এখন অকেজো হয়ে পড়ে আছে। স্থানীয় জনসাধারন ও বিভিন্ন এনজিওর উদ্যোগে পন্ডস স্যান্ড ফিল্টার (পিএসএফ), রেইন ওয়াটার হার্বেষ্টিং (আরডব্লিউএইচ) বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য সহায়তা করলেও তার পরিমান সীমিত। যে সব পুকুরে পিএসএফ স্থাপন করা হয়েছে, তার অধিকাংশ পুকুরে বর্তমানে পানি কম থাকায় এর সুফল পাচ্ছে না সাধারন জনগন।
চিতলমারী সদর বাজারের চা’দোকানী নজরুল তালুকদার, বিশ্ব নাথ মন্ডল ও হোটেল মালিক প্রশান্ত সাহা প্রবর্তনকে বলেন , চিতলমারী সদর বাজার ও আশেপাশে বিশুদ্ধ খাবার পানির পাশাপাশি পানির অভাবে হাহাকার শুরু হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে দু’তিনটি পানি সরবরাহের উৎস থাকলেও তা’ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম এবং পানির মূল্য অনেক বেশী। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। চিতলমারী বাজারে ২টি পুকুর রয়েছে। দুটি পুকুরের পাড় দখল ও ভরাটের কারণে এলাকাবাসীর সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।