ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | আপডেট: ১৯:০১, ০২-০৪-১৯
খুলনায় আসামিদের সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগে ঠিকাদার মিজানুর রহমান বালা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার এস আই বিপ্লব কান্তি দাসকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। মঙ্গলবার মামলার নতুন কর্মকর্তা হিসেবে সদর থানার এস আই ইকবাল হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে একদিনের রিমান্ড শেষে প্রয়াত যুবলীগ নেতা মেজবাহ হোসেন বুরুজের স্ত্রী ও মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবিহা খাতুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার বাকি ৪ আসামির রিমান্ড শেষ হবে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাকিল আহমেদ জানান, একটি অভিযোগে ভিত্তিতে তাকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। কি কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে-তা তিনি বলতে চাননি।
তবে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত রোববার রিমান্ড শুনানীর পর থেকে তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আসামিদের সঙ্গে যোগসাজনের অভিযোগ ওঠে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে এই অভিযোগ যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ইকবাল হোসেন জানান, রিমান্ড শুনানী শেষে আসামি সাহিবা খাতুনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে তিনি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। অন্য আসামিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ বুধবার তাদের রিমান্ড শুনানী শেষ হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে খুন হন মিজানুর রহমান বালা। তিনি খুলনায় প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত। প্রয়াত যুবলীগ নেতা মেজবাহ হোসেন বুরুজ তার ছোট ভাই।