ভারতীয় পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি জনসনের বেবি শ্যাম্পু, নস্যাৎ করল সংস্থা

ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | আপডেট: ১৯:৪২, ০১-০৪-১৯

ক্ষতিকারক উপাদান মিলেছে জনসন বেবি পাউডারে। সম্প্রতি পরীক্ষার নিরীক্ষার পর এমনটাই দাবি করেছে রাজস্থান ড্রাগ কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন।

গত ৫ মার্চে ড্রাগ কন্ট্রোলের একটি নোটিসে দাবি করা হয়, ২০২১-এ মেয়াদ ফুরোবে এমন দু’টি ব্যাচের শ্যাম্পুর গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়। এই শ্যাম্পুগুলো তৈরি হয়েছে সংস্থার হিমাচল প্রদেশের ইউনিটে। পরীক্ষার পরই সামনে আসে ক্ষতিকারক ফরম্যালডিহাইড রয়েছে জনসনের এই বেবি প্রোডাক্টে!

যদিও বিষয়টি সম্পূর্ণ নস্যাত্ করে দিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন। সংস্থার মুখপাত্র পাল্টা দাবি করেন, “উপকরণ হিসেবে শ্যাম্পুতে ফরম্যালডিহাইড ব্যবহার করা হয়নি। শুধু তাই নয়, বেবি শ্যাম্পুতে এমন কোনও উপকরণ ব্যবহার করা হয় না যা থেকে ফরম্যালডিহাইড নির্গত হয়।”

ফরম্যালডিহাইড হল বর্ণহীন, ঝাঁঝালো গ্যাস। বিল্ডিং এবং গৃহস্থালির নানা সরঞ্জাম এবং প্লাইউড, ফাইবার বোর্ড, নানা রকম আঠা তৈরিতে ব্যবহার হয়। খাদ্যদ্রব্যের প্রিজারভেটিভ হিসেবে ব্যবহার হয়। রান্না এবং ধূমপানের সময় ফরম্যালডিহাইড উত্পন্ন হয়।

গত বছরের ডিসেম্বরে জনসন বেবি পাউডার সংক্রান্ত রয়টার্সের একটি রিপোর্ট সামনে আসে। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, অ্যাসবেসটস রয়েছে বেবি পাউডারে।  যা শরীরে ঢুকলে ক্যানসার হতে পারে। ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বিষয়টি জনসন অ্যান্ড জনসন জানত। কিন্তু সেই তথ্য লুকিয়ে রেখে বছরের পর বছর বেবি পাউডার বিক্রি করেছে সংস্থাটি।

সেই সময়ও জনসন রয়টার্সের ওই দাবিকে নস্যাত্ করে বলে, এটা সম্পূর্ণ একপেশে, ভুয়ো তথ্য। জনসন বেবি পাউডারের রিপোর্টটি সামনে আসার পর শোরগোল পড়ে যায়। ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগ অর্গানাইজেশন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। জনসন এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে দাবি করে, সরকারি পরীক্ষায় কোনও অ্যাসবেসটস মেলেনি পাউডারে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top