ডেস্ক রিপোর্ট, Prabartan | আপডেট: ১৬:২৩, ৩০-০৩-১৯
উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে খুলনার ৮ উপজেলায় রোববার (৩১ মার্চ) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (৩০ মার্চ) নির্বাচনের আগের দিন কড়া নিরাপত্তায় উপজেলার নির্বাচনী কার্যালয়গুলো থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্র পাঠানো হচ্ছে ব্যালট পেপারসহ ভোটের সরঞ্জাম।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন। রোববার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে নির্বাচনী এলাকায়।
রোববার খুলনা জেলার ৯ উপজেলার ৮টিতে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ মার্চ নৌকা প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে দ্বন্দ্বে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাচন ১০ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। যার কারণে রোববার ডুমুরিয়া উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।
জেলার ৮টি উপজেলার মধ্যে বটিয়াঘাটা ও ফুলতলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ও দাকোপে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া, চেয়ারম্যান পদে ২১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৫ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহন করছেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খুলনার ৬৫ শতাংশ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কঠোর ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন।
৮টি উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪৭৭টি। দূর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্পর্শকাতর এলাকা ও দূরবর্তী স্থান বিবেচনায় এরমধ্যে ২৯৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ আর ১৮৩টি কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। যা মোট ভোট কেন্দ্রের প্রায় ৬৫ শতাংশ।
খুলনা জেলা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-ওয়াস) আব্দুর রশীদ শনিবার দুপুরে বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
তিনি জানান, খুলনার ৮ উপজেলায় ২১ হাজার পুলিশ, ৪ হাজার ৬৯২ আনসার, ২৪ প্লাটুন বিজিবি , র্যাবের ১৮ টি প্রেটোল পার্টি ও ২০৭ জন কোসগার্ড দায়িত্ব পালন করছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সিটিএসবি) মনিরা সুলতানা বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতায় ৪৬টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৩১টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ এবং ১৫টি কেন্দ্র সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত উপজেলা নির্বাচনে খুলনার নয়টি উপজেলার মধ্যে ছয়টিতে চেয়ারম্যান পদে জয় পায় আওয়ামী লীগ। ডুমুরিয়া ও পাইকগাছায় বিএনপি এবং কয়রায় জামায়াত প্রার্থী নির্বাচিত হন। তবে এবার বিরোধী দল-মতের কোন প্রার্থীই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।