ডেস্ক রিপোর্ট, prabartan | প্রকাশিত: ২১:৪০, ১২- ০৩-১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে বিজয়ী হয়েছেন কোটা আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর। তাকে অনেকেই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী নেতা হিসেবে চেনে। ছেলের সাফল্যে আমি গর্বিত।
নুরের বাবা ইদ্রিস হাওলাদার বর্তমানে কৃষি কাজের পাশাপাশি উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বুধবার বাজারে একটি চায়ের দোকান দিয়ে সংসার চালান। ১৯৯১ সালে নুরে বাবা ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই সময় তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও গত ১০ বছর তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। তবে তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক বলে জানান স্থানীয়রা।
ছেলের ডাকসুর ভিপি হওয়ার খবর শুনে তিনি বলেন, ছেলের বিজয়ে আমার এলাকার সর্বস্তরের জনগন খুব খুশি। এ বিজয় আপনাদের সকালের। আমরা গর্বিত। আমার ছেলে ভবিষ্যতে যাতে বড় কিছু হতে পারে তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
এদিকে নুরের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা বলা হলেও নিজ এলাকায় নুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা হিসেবেই পরিচিত। তিনি কিংবা তার পরিবারের কোনো সদস্য জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
নুর চর বিশ্বাস জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে থেকে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে ঢাকা চলে যান। এর পর গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে এসএসসি ও উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হন। তবে মাঝখানে নুর পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়েরও ভর্তি হয়েছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরুতে তার ওই রকম পরিচিতি ছিল না। তবে তার ব্যাপক পরিচিতি এনে দিয়েছে দেশব্যাপী চরম আলোচিত কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত হওয়াটা। আন্দোলনকারী সংগঠনের নাম দেয়া হয় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। নেতৃত্ব দেয়ার কারণে এ সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় তাকে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে হামলা, মামলা ও কারাবরণের মুখোমুখি হন নুর। এমনকি ডাকসু নির্বাচন চলাকালে নির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছাত্রলীগের নারী প্রার্থীদের দ্বারা মারধরের শিকার হয়ে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। তারপরও তাকে দমিয়ে রাখা যায়নি। শেষ পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়ে তাকেই নেতা নির্বাচিত করেছেন।