নিজস্ব প্রতিবেদক, prabartan | প্রকাশিত: ২০:১০, ১১- ০৩-১৯
খুলনায় চাঞ্চল্যকর হাবিব হত্যার নেপথ্যে ছিল পরকীয়া। সোমবার ঘটনায় জড়িত দুই আসামীকে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া আটককৃতদের স্বীকারোক্তিতে মৃতদেহের খন্ডিত অন্যান্য অংশ, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র, নিহত ব্যক্তির হারানো মটর বাইক ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, সোমবার নগরীর ফুলবাড়িগেট এলাকা থেকে প্রথমে আসাদুজ্জামান (৩৫) নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে ঘটনায় জড়িত অন্য আসামী অনুপম মহলদারকে (৪২) বটিয়াঘাটা উপজেলার হাটবাটিয়া গ্রামের তার নিজ বাড়িতে থেকে আটক করা হয়। আটককৃত দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় জড়িত অন্য তিন জনের নামও জানা গেছে।
হত্যাকান্ডে জড়িত অন্য তিন জন হলো, মোস্তফা, হালিম ও খলিল। এর মধ্যে হালিমের পরিচয় পাওয়া গেছে। সে কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
র্যাবের দেওয়া তথ্যানুযায়ি আটক দুই জনের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, মোস্তফা নামের এক ব্যাক্তির স্ত্রীর সঙ্গে নিহত হাবিবের অনৈতিক সম্পর্ক (পরকীয়া) ছিল। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর হাবিবকে কৌশলে খুলনায় ডেকে এনে মোস্তফার নির্দেশে যোগসাজশে হাবিবকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা মোতাবেক তাকে নগরীর ফারাজিপাড়ার একটি বাড়িতে নিয়ে হত্যা করে আসামীরা।
গত ৭ মার্চ নগরীর সদর থানাধীন ফরাজী পাড়া রোডস্থ পারিজাত ক্লিনিকে প্রবেশের গলির মুখে রাস্তার ড্রেনের মধ্য ও রাস্তার আশেপাশে মৃতদেহের একাধিক খন্ডিত অংশ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিকট আত্মীয়ের সনাক্ত মতে লাশের পরিচয় পাওয়া যায়। পরে নিহতের ভগ্নিপতি গোলাম মোস্তফা অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুনীদের ধরতে ও এর রহস্য উদঘাটনে তৎপর হয়ে ওঠে। ঘটনার চার দিনের মাথায় দুই আসামীকে আটকের পর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হলো।
র্যাব-৬ এর স্পেশাল কোম্পানী কমান্ডার মেজর শামীম বলেন, সোমবার ভোরে ফুলবাড়িগেট এলাকা থেকে আসাদুজ্জামান পরে বটিয়াঘাটা থেকে অনুপমকে আটকের পর ফরাজিপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে মরদেহের অবশিষ্টাংশ কাটা পা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তিতে আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অন্য আসামীদের নাম ও ঘটনার মূল রহস্য বলে দেয়। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পরকীয়ার জেরে হাবিবকে হত্যা করা হয়েছে।