দখল-দূষণে ফকিরহাটের কাটাখালীতে সদ্য খননকৃত পানার খালের বেহাল দশা

ফকিরহাট প্রতিনিধি, prabartan | প্রকাশিত: ২১:২৪, ০৮- ০৩-১৯

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহমান সদ্য খননকৃত পানার খাল ময়লা আবর্জনা ফেলে পানি নিঃকাশনের পথ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় দোকানদার ও ভ্রম্যমান ব্যাবসায়ীরা যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনার স্তুপ ফেলে এবং খালের দুইপাশের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে যন্ততন্ত্র দখল করায় এঅবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি সরবরাহ করতে না পেরে বন্যার রুপ ধারন করার আশাংখা রয়েছে। দ্রুত ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্দ করা না হলে খালটি পুরোপুরি বন্দ হয়ে পানি নিঃকাশনে বাধা সৃষ্টি হয়ে জনগনের সিমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

জানা গেছে, গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৯.৯৪.৬৫০টাকা ব্যায়ে ১.৫ কিলোমিটার পানার খাল পুনঃখনন করেন। খালটি পুনঃখনন করার ফলে বাগেরহাটের সদর উপজেলার ষাটগুম্বজ রাখালগাছি খানপুর ও পিলজংগ ইউনিয়নের সকল পানি এই পানার খাল দিয়ে প্রবাহিত হতো। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডের কিছু সংখ্যাক অসাধু ব্যাবসায়ী সেই খালে ময়লা আবর্জনা ফেলে খালের পানি নিঃকাশনের পথ বন্দ করে দিয়েছেন। শুধু ব্যাবসায়ীদের ফেলা ময়লা আবর্জনায় খালটি ভরাট হচ্ছে না, সেই সাথে পানার খালে প্রচুর পরিমানে ধাপ জমে ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় পানি নিঃকাশনে চরম বাধা হয়ে দাড়িয়েছে।

সরেজমিনে অনুসন্ধ্যানে গিয়ে দেখা গেছে, যুগীখালী নদীর মোহনা অথাৎ ব্রীজের পাশ দিয়ে পানার খালটি কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডের উপর দিয়ে শ্যামবাগাত ও টাউন নওয়াপাড়া গ্রামের মধ্যদিয়ে খালটি প্রবাহিত হয়েছে। এই খালটির কাটাখালী অংশের বেশ কয়েকটি এলাকায় স্থানীয় কিছু হোটেল ও ফল ব্যাবসায়ীরা বিভিন্ন ভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলে খালের মুল পরিবেশ চরম ভাবে নষ্ট করে ফেলেছেন। তাছাড়া কিছু কিছু স্থানে খালের বেশ কয়েকটি অংশ দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। আর এগুলি নির্মাণ করার ফলে ফেলে দেওয়া ময়লা আবর্জনা জমে খালের মুল খননকৃত অংশ চেনাই দায় হয়ে পড়েছে। যে যার ইচ্ছামত খুটি পুতে ও স্থাপনা তৈরী করে খালের গতি হারিয়ে ফেলেছেন। এক পাশের খাল দখল অন্যপাশের ময়লা আর্বজনা ফেলে ভরাট করায় আগামী বর্ষা মৌসুমে পানি সরবরাহ হুমকি হয়ে দাড়াবে। অপরদিকে কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডের পূর্বপাশের্^র স্বর্নিভর খালের মুখে বিপুল পরিমানে ময়লা আর্বজনা ফেলে মুল মুখ বন্দ করে দেওয়া হয়েছে। অথাচ এই র্স্বনিভর খাল দিয়ে পিলজংগ রাখালগাছি ও ষাটগুম্বজ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের পানি সরবরাহ হয়ে থাকে। বর্ষা মৌসুমে প্রবাহমান পানি সরবরাহের পথ বন্দ হয়ে বন্যার রুপ চরমে পৌছানোর আশাংখা করা হচ্ছে। আর এটি হলে হাজার হাজার কৃষককের পানের বরজ কৃষি ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হবে। অতিদ্রুত ময়লা আর্বজনা ফেলা বন্দ, অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ ও ধাপ অপসরণ করা অত্যান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। আর তা করা না হলে পানি সরবরাহের পথ বন্দ হয়ে বন্যা চরম থেকে চরম রুপ ধারন করার আশাংখা রয়েছে বলে সচেতন মহলের ধারনা।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top